সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫ ।। ৯ চৈত্র ১৪৩১ ।। ২৪ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :

‘বিচারের আগে স্বৈরাচার পুনর্বাসন করার যে কোন প্রচেষ্টা প্রতিহত করা হবে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ যে অপরাধ করেছে তার দায় কেবল ব্যক্তি ও ব্যক্তিবর্গের উপরে চাপিয়ে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে দায়মুক্তি দেওয়া গণঅভ্যুত্থানের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। বরং বিগত স্বৈরতন্ত্র যে চরিত্র ও ব্যাপকতা নিয়ে নিপীড়ন চালিয়েছে তাতে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের দায় সুস্পষ্ট। তাই খুন, গুম, হত্যা ও নিপীড়নের জন্য দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আগামীতে যাতে আর কোন ফ্যাসিবাদ জন্ম না নিতে পারে সেজন্য আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আজ ২২ মার্চ শনিবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় আমেলার নিয়মিত বৈঠকে পবিত্র মক্কা থেকে সংযুক্ত হয়ে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আমরা আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে গণ্য করি না। কারণ, তাদের মধ্যে রাজনৈতিক চরিত্রের বদলে মাফিয়া চরিত্র বেশি দেখা যায়।ফলে রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে করণীয় নীতি-আদর্শ আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর বলেন, গণহত্যা, গুম-খুন ও নিপীড়নের সাথে জড়িত অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এখনো আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালন করছে। ফলে এটা স্পষ্ট যে দল হিসেবেই আওয়ামী লীগ নিপীড়নের সাথে সংযুক্ত। তাই স্বৈরাচারের পূর্ণাঙ্গ বিচার হওয়ার আগে আওয়ামী লীগকে নির্বাচন ও রাজনীতি করতে দেওয়ার কোন সুযোগ নাই।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। অপরাধীদের এখানো শাস্তি হয় নাই। এমন পরিস্থিতিতে যারা ফ্যাসিবাদী দলের পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করছে তারা রক্তের সাথে গাদ্দারি করছেন। তাই খুনিদের বিচারের আগে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব ও আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের আলাপ অনৈতিক। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এই ধরণের আলাপ-আলোচনাকে দেশ ও জনগণের স্বার্থবিরোধী মনে করে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর বলেন, সেনাবাহিনী রাষ্ট্রের ভিত্তিমূলক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল অতীত রয়েছে। স্বৈরাচার পতনকালে তাদের ভূমিকা জাতিকে আশ্বস্ত করেছে। ফলে সেনাবাহিনীকে অভিযুক্ত করে কোন প্রচারণাকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অকল্যাণকর মনে করে একই সাথে রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর কোন ধরণের হস্তক্ষেপও কাম্য নয় বলে মনে করে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নিয়মিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতেয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমাদ আব্দুল কাউয়ুম, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরি, এবিএম জাকারিয়া, এ্যাডভোকেট শওকত আলী, মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ কাশফি, মাওলানা নুরুল করীম আকরাম, মাওলানা খলিলুর রহমান, আলহাজ্ব হারুনুর রশিদ, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, এ্যাডভোকেট হাসিবুল ইসলাম, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, আল মুহাম্মাদ ইকবাল, জিএম রুহুল আমীন, মাওলানা হেমায়েতুল্লাহ, মাওলানা রেজাউল করীম আবরার, মাওলানা শামসুদ্দোহা আশরাফি, অধ্যাপক নাছির উদ্দিন, মাওলানা শেখ মুহাম্মাদ নুরুন নাবী প্রমূখ।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ