বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, আওয়ামী লীগ মোনাফেক শক্তিকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর পুনর্বাসিত হতে দেওয়া হবে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে নজির বাংলাদেশের রয়েছে এটাকে অব্যাহত রাখতে হবে। দেশের ৯০ ভাগ মুসলিমদের চেতনা, তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে যদি সম্মান জানাতে না পারেন এদেশে কোন দিনও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অবস্থান ভালো রাখা যাবে না।
তিনি বলেন, ২০২১ সালে বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে মুসলমানদের রক্তের সঙ্গে উপহাস করা হয়েছিল। তখন হেফাজতে ইসলাম প্রতিবাদ করায় হেফাজতের প্রায় ২০-৩০ জন নেতাকর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। আল্লাহ পাক শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করে আমাদের প্রাণের বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, দেশে পরাজিত শক্তি বসে নেই। কথিত স্বৈরাচার আবার বাংলাদেশের মানুষের বুকের ওপর ছোবল মারার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছে। ৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে আমরা সোনার বাংলাদেশ পেয়েছি।
আজ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইল পৌর উদ্যানে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে নৈরাজ্যবাদ বিরোধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগকে নাটকবাজ দল বলে মন্তব্য করে শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক পুত্র মাওলানা মামুনুল হক বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) রাতে সংখ্যালঘুদের ওপর কালনাগিনী হয়ে ছোবল মারত, আর দিনে ওঝা হয়ে বিষ নামানোর নাটক করত। এটা ছিল শেখ হাসিনার কৌশল।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অন্য দেশের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী সংবিধান করে ৫০ বছর পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষের অধিকার হরণ করেছে।
গোপালগঞ্জের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন তিনি।
জেলা কওমি ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, পৌর বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান আলীম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সুরা সদস্য মুফতি আশরাফুজ্জামান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমাদ ও মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ এনামুল হাসান প্রমুখ।
হাআমা/