ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষে সর্বত্র প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে। পুলিশ প্রশাসনের যে সকল সদস্য এখনো কাজ যোগ দেয়নি, তাদেরকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে নতুন লোক নিয়োগ দিতে হবে। চাঁদাবাজ ও দখলদারদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। এ দেশ আমাদের সকলের। সকল ধর্মের সকল নাগরিকের স্ব-স্ব অধিকারের পূর্ণ নিশ্চয়তা দিতে হবে।
আজ শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তৃণমূল দায়িত্বশীল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
দলের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, আলহাজ আলতাফ হোসাইন, আলহাজ আনোয়ার হোসাইন, আলহাজ আবদুল আউয়াল, ডা. শহীদুল ইসলাম, কেএম শারীয়াতুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, আলহাজ নজরুল ইসলাম খোকন, মাওলানা কামাল হোসাইন, মাওলানা যোবায়ের, শেখ মুহাম্মদ আবু তাহের, প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা, হাফেজ শাহাদাত হোসাইন প্রধানিয়া, মুহাম্মদ আবদুর রহমান প্রমুখ।
মুফতি ফয়জুল করীম আরও বলেন, বিগত বছরগুলোতে মেহনতি মানুষের ট্যাক্সের পয়সা অপরিকল্পিতভাবে খরচ করা হয়েছে। প্রতিযোগিতা দিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করা হয়েছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। বিদেশ পাচার টাকাগুলো ফেরত আনার কার্যকর পদক্ষেপগ্রহণ করতে হবে।
দায়িত্বশীলদেরকে দক্ষতার সাথে সকল কাজ আঞ্জাম দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সময় এসেছে কোরবানির নজরানা পেশ করার। সর্বত্র কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে হবে। ঘরে ঘরে আদর্শসমাজ বিনির্মানের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান একক কোনো গোষ্ঠীর ছিলো না এ অভ্যুত্থান সকল দলের। সকল ছাত্র-জনতার। এককভাবে কোনো দল বা ব্যক্তি গণহত্যাকারী মাফিয়াগোষ্ঠীকে ক্ষমা করার অধিকার রাখে না। বিগত ১৬ বছরে হাজার হাজার মায়ের বুক খালি হয়েছে, অনেক বোনকে করা হয়েছে বিধবা, বাবার ছায়া থেকে বঞ্চিত হয়ে শত শত শিশুর আর্তচিৎকার আমরা এখনও শুনি। ১৬ বছরের নারকীয় তান্ডবের বিচার ফায়সালা না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে ক্ষমা করার আপনারা কারা?