আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজার শিশুদের পোলিও টিকাদানের জন্য তিনদিনের জন্য সামরিক অভিযান স্থগিত করেছে ইসরাইল। বিরতি শুরু হওয়ার ঠিক আগ পর্যন্ত নৃশংস বর্বরতা চালিয়েছে দখলদার ইসরাইল।
এতে গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ৬১ ফিলিস্তিনির মৃত্যুর খবর জানিয়েছে আল জাজিরা। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
রোববার আল জাজিরা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার ভোরে পরিকল্পিত পোালিও টিকা কর্মসূচী শুরু হওয়ার আগেই গাজার মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকার বাড়িগুলোতে বিমান হামলার পাশাপাশি ব্যাপক গোলাবর্ষণ করে ইসরাইলি বাহিনী। এসব হামলায় এক পরিবারের ৯ সদস্য ঘটনাস্থলেই নিহত ও আরও বেশ কয়েকজন আহত হন।
আজ রোববার থেকে গাজায় জাতিসংঘের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। এ উপলক্ষে তিন দিনের জন্য মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরাইল। তবে অধিকৃত পশ্চিম তীরে পানি এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ অচল করে ভয়াবহ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
এদিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস পোলিও টিকাদানের জন্য ইসরাইলের মানবিক যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছে।
হামাসের কর্মকর্তা বাসেম নাঈম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা গাজা উপত্যকায় সাড়ে ছয় লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি শিশুকে সেবা ও সুরক্ষা দিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিন দিনের এই বিরতি ‘যুদ্ধবিরতি নয়’।
গাজায় ইসরাইলি হামলায় বিধ্বস্ত এই ভূখণ্ডের নিহতের মোট সংখ্যা ৪০ হাজার ৬৯১ ফিলিস্তিনি। এ ছাড়া গত ১০ মাসে আহত হয়েছেন ৯৪ হাজারের বেশি।
গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরাইলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরাইলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এরপর থেক পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল।
ফিলিস্তিন