ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সাথে ওলামায়ে কেরামের সাথে যে দ্বন্দ্ব আছে তা দূর করুন। জামায়াতে ইসলামীর সাথে হক্কানী ওলামায়ে কেরামের সাথে যে মতানৈক্য আছে তা দূর করে টেকসই ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। আগামী বাংলাদেশ হবে ইসলামী মূল্যবোধের বাংলাদেশ। এখানে কোনো বৈষম্য দেখতে চাই না। সম্মিলিতভাবে এ দেশটাকে গড়তে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম মৌলবাদ বলতে কী বুঝিয়েছেন? ইসলামী মৌলবাদ জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ। আমি ইসলামী মূল্যবোধকে বাদ দিয়ে কোন রাজনীতি করবো না। ইসলামী মৌলবাদকে বাদ দিয়ে কোন রাজনীতি হবে না। আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্য বিরোধী বাংলাদেশ। এখানে সকলের অধিকার থাকবে। এ বাংলাদেশ সকলের বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ চত্বরে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে ভারতীয় পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদ ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে গণহত্যার বিচারের দাবিতে ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্র সমাবেশে বক্তব্যে শায়খে চরমোনাই এসব কথা বলেন।
মুফতী ফয়জুল করীম উল্লেখ করেন, দীর্ঘ ৮০০ বছর পর্যন্ত ভারত উপমহাদেশ শাসন করেছে মুসলমান। কিছু মুনাফেকের কারণে ২০০ বছর শাসন করেছে বৃটিশ। এরপরে আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম কিন্তু ভারত ভালো ব্যবহার না করার কারণে পাকিস্তান হয়েছিল। পাকিস্তান হওয়ার পরেও আশা আকাঙ্খা পূরণ না হওয়ায় ৭১ এ স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশ হয়েছিল। ভারত ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে বাংলাদেশকে মরুভূমিতে পরিণত করেছে। তিস্তার সমস্যা সমাধান করেনি। ভারত প্রত্যেক বছর বাংলাদেশের মানুষকে পানি দিয়ে ডুবিয়ে দেয়। ওরা বাংলাদেশের অর্থনীতি, শিক্ষানীতি সংস্কৃতিকে ধ্বংস করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৯২% মানুষকে নাস্তিক বানানোর ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। বর্তমান সরকার আলেম ওলামা ও জ্ঞানীদের দিয়ে নতুন শিক্ষা কমিশন করতে হবে। ৯২% মানুষের চিন্তা চেতনা বাদ দিয়ে কোন সিলেবাস হতে পারে না। মুসলিমদের চিন্তাচেতনা বিরোধী কোন সিলেবাস চলবেন না।
শায়খে চরমোনাই বলেন, শেখ হাসিনার পুত্র পদ্মাসেতু দেখতে গিয়ে দেড় ঘন্টা সড়ক বন্ধ করে মানুষকে কষ্ট দিয়েছে, এমন আচরণ আমরা চাইনা। ভেদাভেদ সৃষ্টির বাংলাদেশ আমরা চাইনা। কেউ থাকবে ১০তলায়, কেউ খাবে কেউ খাবে না, সে বাংলাদেশ দেখতে চাইনা। আমরা চাই বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের সমান সুযোগ থাকতে হবে।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল বশর আজিজী'র সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল মুনতাসীর আহমাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ছাত্র সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই, দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ,যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মুফতী সৈয়দ এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, বরকতুল্লাহ লতিফ, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ নেছার উদ্দীন, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম সভাপতি অধ্যাপক নাছির উদ্দীন, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের নেতা মো. কামাল উদ্দিন, ছাত্র অধিকারের নেতা মোল্লা রহমত উল্লাহ, জাগপা ছাত্র আন্দোলনের নেতা আব্দুর রহমান ফারুকী, আশিকুর রহমান জাকারিয়া, বেলাল আহমদ চৌধুরী, সৈয়দ মো. মিলন ।
হাআমা/