শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, সতর্ক থাকতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা

রহস্যজনক বন্যায় মানবিক বিপর্যয়ে পীর সাহেব চরমোনাইর উদ্বেগ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, অতি ভারি বর্ষণের কারণে বন্যা পরিস্থিতর সৃষ্টি হলে তা সহনশীল মাত্রায় বৃদ্ধি পাবে এবং মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে। বর্ষা সৌসুমে যা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু সম্প্রতি ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও লক্ষীপুরসহ এতদঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি যে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, তাতে খুব সহজেই বোঝা যায় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে অন্যায়ভাবে বাঁধ খুলে দিয়ে আমাদের বাংলাদেশের নিম্নাঞ্চলগুলোতে ইতিহাসের ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করা হয়েছে। যা মানবতা বিরোধী অপরাধ। এই অপরাধের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকে বলিষ্ঠভাবে এখনই সোচ্চার হতে হবে।

আজ বুধবার (২১ আগস্ট) এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দুই দেশের অভিন্ন ৫৪টি নদীর ৫১টি নদীতে আšত্মর্জাতিক নদী আইন অম্যান্য করে ভারত বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য উজানে অসংখ্য বাঁধ, ব্যারেজ দিয়েছে এবং ভিন্নখাতে একতরফাভাবে পানি ছাড়ছে ও প্রত্যাহার করছে। ভারতের এই পানি আগ্রাসনের কারণে গোটা বাংলাদেশে আজ বর্ষায় তলিয়ে যাচ্ছে এবং গ্রীষ্মে মরন আকার ধারণ করছে। ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প আন্তর্জাতিক নদী আইনের সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন। এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তুলতে আহ্বান জানান তিনি।

ইসলামী আন্দোলনের আমীর আরও বলেন, অতীতে ক্ষমতাসীন ও দখলদার লুটেরাদের কারণে এবং নদী শাসনে অনিয়মের কারণে নদীমাতৃক দেশের প্রায় প্রতিটি নদীই অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ফলশ্রম্নতিতে স্বল্প বর্ষনেই যত্রতত্র বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। এক্ষেত্রে জনগণকেও সচেতন হতে হবে এবং রাষ্ট্রকে এখনই যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

পীর সাহেব চরমোনাই দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি বন্যা কবলিত অঞ্চলে দ্রুত মানবিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসতে নির্দেশনা  দিয়ে বলেন,  প্রতিটি এলাকাভিত্তিক সেচ্ছাসেবী টিম গঠন করে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে সহযোগিতা করা, জরুরি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া এবং পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ