আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আলোচনা সভা করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো: রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ বরাবর পাঠানো চিঠিতে একথা জানায় ডিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) মোঃ আবু ইউসুফ।
এর আগে, একইদিন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জুবিলি উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার (২৯ জুন) বিকাল ৩টায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
চিঠিতে ডিএমপি কমিশনার জানায়, আলোচনা করার জন্য (২৮ জুন) দাখিলকৃত আবেদনের প্রেক্ষিতে নিম্নবর্ণিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে শনিবার (২৯ জুন) বিকাল ৩টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভার অনুমতি প্রদান করা হলো।
শর্তাবলী গুলো হচ্ছে -
১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
৩. অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
৪. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।
৫. অনুমোদিত স্থানের বাইরে বা সড়কের পাশে মাইক/সাউন্ডবক্স ব্যবহার করা যাবে না (৬) অনুমোদিত স্থানের বাইরে বা সড়কের পাশে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।
৭. অনুমোদিত স্থানের বাইরে রাস্তায় বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত হওয়া যাবে না।
৮. আযান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
৯. ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত আনতে পারে এমন কোন বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।
১০.অনুমোদিত স্থানের আশপাশসহ রাস্তায় কোন অবস্থাতেই সমবেত হওয়াসহ যান ও জন চলাচলে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।
১১. সমাবেশ স্থলে পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে কোন ধরণের লাঠি-সোটা, রড ব্যবহার করা যাবে না।
১২. আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না
১৩ রাষ্ট্র বিরোধী কোন কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।
১৪. উস্কানীমূলক কোন বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।
১৫. জন দুর্ভোগ সৃষ্টি করে মিছিল সহকারে সমাবেশ স্থলে আসা যাবে না।
১৬. পার্কিং এর জন্য নির্ধারিতস্থানে গাড়ী পার্কিং করতে হবে, মূল সড়কে কোন গাড়ী পার্কিং করা যাবে না।
১৭. সমাবেশ স্থলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।
১৮. উল্লিখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষনিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
১৯. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোন কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।
এনএ/