বিএনপির মধ্যে এখন চরম হতাশা। তারা বলে, তারেক জিয়াই সব শেষ করলো, নির্বাচন করলেই ভালো হতো বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন স্টেশনে, বন্দরে, বিয়ে-শাদীর অনুষ্ঠানে দেখা হলে ‘কী ঘটনা’ জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন- সব উনি শেষ করেছেন। উনি কে, তারেক রহমান। কারণ আজকে বিএনপিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন এই তারেক রহমান।
রোববার (১৮ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চীন ও নেপালের রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘ সমন্বয়কের সাক্ষাৎ শেষে বিকালে ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর হয়ে নীলফামারী পৌঁছান তিনি। সেখানে জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জনগণের জন্য রাজনীতি করে না। আমরা যখন শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করছি, শীতবস্ত্র বিতরণ করছি, বিএনপি কই, খুঁজে পাওয়া যায় না। বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় যখন পেট্রোল বোমা মারে। আর জাতীয় পার্টি কই, তাদেরও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা এখন রওশন এরশাদ আর জিএম কাদের এই দুইটা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। শুধু আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে আছে। শুধু আওয়ামী লীগ আজকে শীতবস্ত্র বিতরণ বলুন, মানুষের কাছে অন্যান্য সাহায্য সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়া বলুন, একমাত্র আওয়ামী লীগই করছে, মানুষের কাছে আছে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখতে পেয়েছেন সমগ্র পৃথিবীর সমস্ত রাষ্ট্র জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছে এবং কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করছে। এতেই বিএনপির মধ্যে হতাশা আরও গভীর হয়েছে।
আওয়ামী লীগের রাজনীতি জনগণের রাজনীতি, খেটে খাওয়া গণমানুষের কল্যাণের রাজনীতি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের নেত্রী। দূর থেকে মনে হয় প্রধানমন্ত্রী, যখন গিয়ে কথা বলবেন তখন মনে হবে উনি আপনার মা কিংবা বড় বোন। এমনই হচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। এখানেই হচ্ছে অন্যদের সাথে জননেত্রীর পার্থক্য।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে থাকে। অন্যরা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। আরেকটা গ্রুপ আছে কীভাবে ক্ষমতার সাথে থাকবে সেই চেষ্টায় লিপ্ত থাকে, এর বাইরে অন্য কোনো রাজনীতি নাই।
হাছান মাহমুদ বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা গৃহহীনদের জন্য ১০ লাখ ঘর করে দিয়েছেন। যা বিশ্বের অন্য কোথাও করা হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। শুধু তাই নয়, বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, পঙ্গু ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ ২২ প্রকারের ভাতা প্রদান করা হয়। প্রতিটি ইউনিয়নের পাঁচ হাজার পর্যন্ত নানা ধরনের ভাতাভোগী আছেন। আর মেয়ে স্কুলে গেলে আপনার মোবাইল ফোনে টাকা চলে আসবে। করোনা মহামারির টিকাদান বিশ্বের ১৩০টি দেশে শুরু হওয়ার আগে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে। এটা হচ্ছে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ। তাই আওয়ামী লীগ যেমন আপনাদের পাশে আছে, আপনারও আওয়ামী লীগের পাশে থাকবেন।
এনএ/