শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ।। ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ২৩ শাবান ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘নামাজী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে অপরাধপ্রবণতা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে’ আমাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে আগামীর ইসলামের জন্য কাজে লাগাতে হবে: আজহারী বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সভাপতি পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন ‘কুরআনের সাথে সম্পৃক্ততা মানুষকে আলোকিত করে’ মসজিদে হারাম ও নববীতে তারাবি পড়াবেন ১৫ ইমাম সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে দেশবাসীকে নিয়ে আন্দোলন হবে : সিইসি স্থানীয়-জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যা বললেন জামায়াত আমির ইসলামবিরোধী অপতৎপরতা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি নেজামে ইসলাম পার্টির চীন সফরে যাচ্ছেন মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন কালেমা তাইয়্যেবা হচ্ছে ঐক্যের মূল সূত্র: খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর

‘সবকিছুর দাম বাড়লেও, বেতন বাড়ছে না মাদরাসা শিক্ষকদের’


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি : সংগৃহীত

|| মুফতি উবায়দুল হক খান || 

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলার সংকট-এ ধরনের নানা অজুহাতে পণ্যের দাম বাড়িয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এ ধরনের সিন্ডিকেটের হাতেই জিম্মি সাধারণ ক্রেতা। 

নিত্যপণ্যের দাম শুধু বাড়ছেই। মূল্যবৃদ্ধির প্রমাণ দিচ্ছে খোদ সরকারি একাধিক সংস্থা। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন বলছে, রোজায় আমদানিকৃত পণ্যের দাম বাড়বে ৩০ ভাগ। অপরদিকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের তথ্য হচ্ছে গত বছরের তুলনায় এখনই গড়ে পণ্যের দাম ৫৯ শতাংশ বেশি। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকারি ও খুচরা বাজারে দামের প্রভাব আরও প্রকট। 

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের ব্যবসায়ীদের ‘সিন্ডিকেট কৌশল’ পাল্টেছে। আগে রোজা শুরু হলে দাম বাড়ত। তখন চারদিক থেকে রব উঠত। সরকারের তৎপরতা আরও বেড়ে যেত। ফলে সিন্ডিকেট বেশিদূর যেতে পারত না। এসব কারণে এখন তারা রোজার দেড়-দুই মাস আগে থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে থাকে। প্রথম রোজা পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকে।

এমতাবস্থায় ভালো নেই নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। বাজারে গেলে তাদের মাথায় হাত। কোনটা রেখে কোনটা কিনবে। এ যেন মরার উপর খরার গা।

আরো দুঃখের কথা হলো, বর্তমান সময়ে ভালো নেই মাদরাসার শিক্ষকেরা। মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও বাড়ছে না তাদের বেতন। বেফাকের দস্তুরুল মাদারিসে যদিও বলা আছে, প্রতি বছর মূল বেতনের নিম্নে ৫% বেতন বৃদ্ধি পাবে কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। তাছাড়া অনেক মাদরাসায় তাও কার্যকর করা হচ্ছে না। একে তো মাদরাসা শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনের বেতন কম। তার উপর হু হু করে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। এ পরিস্থিতিতে সরকারের কাছে তাদের একটাই দাবি, হয় নিত্যপণ্যের দাম কমানো হোক নাহয় বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হোক।

লেখক : মুহাদ্দিস, আল-জামিআতুল ইসলামিয়া হামিউস সুন্নাহ গাজীপুর

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ