মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৫ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
যেসব মাদরাসায় বুখারির দরস দেবেন আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জিহাদের ফতোয়ার সমালোচনা মিসরের গ্র্যান্ড মুফতির ফিলিস্তিনকে রক্ষা করা মুসলিম জাতির ঈমানি দায়িত্ব: মাছুম আহমদ  ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে জম্মু-কাশ্মীরে শহীদ ৯৯১   গাজাবাসীর জন্য কুনুতে নাজেলার আমল চালু করুন: হেফাজত আমির জার্মানির তরুণ ইমামের হাতে ৯০ ব্যক্তির ইসলাম গ্রহণ সীমিত পরিসরে হলেও প্রবাসীদের ভোটে আনতে চাই: সিইসি যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক সমস্যা সমাধানে আশাবাদী অর্থ উপদেষ্টা স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে কওমী মাদরাসা শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

নির্বাচনি রাজনীতি থেকে হেফাজত সবসময় মুক্ত থাকবে: ইসলামাবাদী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা, সংবিধানে বহুত্ববাদ বাদ রাখাসহ বিভিন্ন দাবিতে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে এক ঘণ্টার বেশি বৈঠকের পর হেফাজতে ইসলাম দাবি করেছে, ‘নির্বাচনি রাজনীতি থেকে হেফাজত সবসময়ই মুক্ত থাকবে।’

রবিবার (৬ এপ্রিল) হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদীর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়। এদিন বিকাল ৪টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদের পরামর্শে বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে প্রেস রিলিজটি দেওয়া হয়।

হেফাজতের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হেফাজতে ইসলাম একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। এ ধরনের কোনও বক্তব্য হেফাজত থেকে দেওয়া হয়নি। হেফাজত কখনও কারও ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবে না।

‘নির্বাচনি রাজনীতি থেকেও হেফাজত সবসময়ই মুক্ত থাকবে। হেফাজতের নাম বিক্রি করে কেউ রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করলে তা সফল হবে না। ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়াবলিতে হেফাজত জনগণের পক্ষেই সবসময় মতামত দেয় এবং ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে হেফাজতের অবস্থান আগের মতোই অবিচল থাকবে।’

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিএনপির মতো অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও হেফাজত ধারাবাহিক বৈঠক করবে।

আগামী ১২ এপ্রিল কয়েকটি ইসলামী দলের সঙ্গে বৈঠক হবে। প্রসঙ্গত, হেফাজতের যারা গতকালের (রবিবার) বৈঠকে ছিলেন তাদের প্রায় প্রত্যেকেই ইসলামি দলের শীর্ষ নেতা।

হেফাজত নেতাদের সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে ব্রিফ করেন সালাহ উদ্দিন আহমদ। হেফাজত নেতাদের নিয়ে ওই ব্রিফে স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমরা যেমন সংস্কার ও আওয়ামী লীগের বিচার চাই, তেমনি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণের বিষয়টি বিবেচনা করতে চাই। ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু প্রায় সময় দেখা যাচ্ছে, কিছু দিন পরপর বলা হচ্ছে—নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনে।’

‘আবার জুনে থেকে ডিসেম্বরে এরকম একটা শিফটিং দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন মহল থেকে নির্বাচন বিলম্বিত করারও বিভিন্ন পাঁয়তারা লক্ষ করা গেছে। আমাদের জোরালো দাবি—প্রধান উপদেষ্টা অবশ্যই দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ দেবেন, যাতে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা যায়।’

হেফাজতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৈঠকে আটটি বিষয়ে বিএনপিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস’ বহাল রাখা ও ‘বহুত্ববাদ’ শব্দ না ঢুকাতে বিএনপিকে সরব হওয়া; শাপলা চত্বর ও জুলাই-আগস্টের ‘গণহত্যার’ দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার কাজ দ্রুত শুরু; প্রয়োজনীয় সংস্কারসহ সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের ব্যাপারে কোনও আপত্তি না থাকা; ‘তৌহিদি জনতা’ ও আলেম-ওলামার বিরুদ্ধে যায়—এমন কথাবার্তা বলা থেকেও বিরত থাকা।

এছাড়া ‘বিএনপির কিছু কর্মকাণ্ডে দেশের মানুষ ও ওলামায়ে কেরাম যে অসন্তুষ্ট, তা বিএনপিকে জানানো হয়েছে’ বলা হয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে বিএনপিকে আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানায় হেফাজত।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ