গতকাল বৃহস্পতিবারই ঈদের আগে শেষ অফিস করেছে সরকারি চাকরিজীবীরা। আজ থেকে টানা ৯ দিনের ছুটি শুরু। দীর্ঘ ছুটি পাওয়ায় এবার ঈদযাত্রায় স্বস্তিতে যাত্রীরা। তবে ঈদের 'পুরনো হাওয়া' দেখা দিচ্ছিল না সদরঘাটে।
তবে আজ দেখা গেল, সেই চিরচেনা রূপের ব্যস্ত সদরঘাট।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকাল থেকেই বাস ও ট্রেনের পাশাপাশি রাজধানীর সদঘরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ব্যাপক ভিড় লক্ষ করা গেছে।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে সারা বছরই লঞ্চে যাত্রী খরা চললেও ঈদ এলে একটু আশায় বুক বাঁধেন লঞ্চ মালিকরা। এবারও খরা কাটিয়ে প্রাণ ফেরার অপেক্ষায় লঞ্চযাত্রায়।
ঈদুল ফিতরে নৌপথে যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি।
বরিশালগামী কয়েকজন যাত্রী জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এখন আরো স্বস্তি লঞ্চযাত্রা। আগে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলাচল করতো ঈদ মৌসুমে। তবে এখন আর সেই ভোগান্তিটা নেই।
ঈদযাত্রা নিয়ে সতর্ক বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। কর্তৃপক্ষের স্পষ্ট নির্দেশনা, অতিরিক্ত ভাড়া কিংবা বাড়তি যাত্রী নিলেই কেড়ে নেয়া হবে লঞ্চের লাইসেন্স।
এদিকে রেলপথেও যাত্রীর চাপ রয়েছে। তবে সকাল থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের ছিল না কোন সিডিউল বিপর্যয়। সঙ্গে রয়েছে ঢোকার পথে চেকিংয়ের ব্যবস্থা।
ঈদযাত্রায় ট্রেনের ছাদে যাত্রী ওঠা রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। অনেকে ছাদে ওঠার চেষ্টা করলেও তাদের নামিয়ে দেয়া হচ্ছে।
এসএকে/