শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ।। ৮ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ২৩ শাবান ১৪৪৬

শিরোনাম :
জাকির নায়েকের বক্তৃতার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো মালয়েশিয়া আওয়ার ইসলাম ঘুরে গেলেন ইংল্যান্ডের শায়েখ জাকারিয়া ও ম্যাসেজ টিভির পরিচালক রাখাল রাহা, সোহেল ও ধর্ষক আলেপের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ ফরায়েজী আন্দোলনকে নিবন্ধন দিতে অনুরোধ করবেন ধর্ম উপদেষ্টা রাসুলুল্লাহ ﷺ- এর অবমাননার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী কওমী ছাত্র আন্দোলনের নিন্দা ও প্রতিবাদ খিলগাঁওয়ে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশে, নিয়ন্ত্রণে ১০ ইউনিট প্রধান উপদেষ্টার কাছে খোলা চিঠি দিলেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ইংরেজি শিখলেই বাংলা ভুলে যেতে হবে, এমনটি নয়: ড. ইউনূস জামায়াতে ইসলামীর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা মুসলমানরা এখনও পরাধীন; আরেকটা বিপ্লব হবে: আব্বাসী

‘তৌহিদি জনতা’ র কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন মাহফুজ আলম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

‘জনগণ ও মধ্যবর্তী অবস্থানের সপক্ষে’ শিরোনামে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসের এক জায়গায় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘তাঁর কোনো কোনো বক্তব্য হয়তো কারও কারও মনে কষ্ট দিয়েছে, বিশেষ করে তৌহিদি জনতা বলাটা। যারা তাঁর বক্তব্যের কারণে নারাজ-নাখোশ হয়েছেন, তিনি তাঁদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছেন।’

মাহফুজ আলম উল্লেখ করেন, এ অভ্যুত্থান সবার। সে জন্যই মাস্টারমাইন্ড নামক মিডিয়ার তৈরী হাইপকে আমি শুরুতেই প্রত্যাখ্যান করেছি। তাঁরা সিদ্ধান্ত যারা নিতেন, তাঁরা প্রায় সব সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অনেক স্টেকহোল্ডারের (অংশীজন) সঙ্গে কথা বলেছেন। একটা সিদ্ধান্ত ফাইনালাইজ (চূড়ান্ত) করতে অন্তত ৫ থেকে ৬টা গ্রুপের মতামত শুনে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। ফলে এটা আসলে তাঁদের সিদ্ধান্ত নেওয়া বডির সামষ্টিক কৌশলগত সক্ষমতা যেমন, তেমনি অনেকগুলো গ্রুপ অব পিপলের (মানুষ দল) অংশগ্রহণ ও পরামর্শেরও ফসল। কেউই অনুল্লেখযোগ্য নন। আর জনগণ তো ১৯-৩৩ জুলাই কারও সিদ্ধান্তের জন্য বসে থাকেনি। তবে তাঁরা অবশ্যই পাবলিক-প্রাইভেট থেকে শুরু করে মাদ্রাসা-স্কুল-কলেজের ছাত্রদেরই লেজিটিমেট (বৈধ) নেতৃত্ব হিসেবে মানতেন।

মাহফুজ আলম ওই স্ট্যাটাসে আরও বলেন, আমাদের মধ্যবর্তী অবস্থান ধরে রাখতে হবে। সবাইকে নিয়ে এগোতে হবে, কিন্তু অন্তর্ঘাতকদের (স্যাবাটার) বাদ দিয়ে। স্যাবাটাজ বা পেছন থেকে ছুরি মারা, অনার কোড না মানার অভ্যাস—এসব যেকোনো বন্দোবস্তের জন্য হুমকিস্বরূপ। রাজনীতি মানে জেনটেলমেন’স অ্যাগ্রিমেন্টও (যে চুক্তি পারস্পরিক সম্মান-শ্রদ্ধাবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত) থাকবে না, এটা যাঁরা ভাবেন, তাঁরা নিজেদের শুধরে নিন।

মাহফুজ আলম এরপর বলেন, তাঁর কোনো কোনো বক্তব্য হয়তো কারও কারও মনে কষ্ট দিয়েছে, বিশেষ করে তৌহিদি জনতা বলাটা। যারা তাঁর বক্তব্যের কারণে নারাজ-নাখোশ হয়েছেন, তিনি তাঁদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছেন।

মাহফুজ আলম বলেন, এ ছাড়া গত কয়েক মাসে অন্য কোনো বক্তব্যে কেউ আঘাত পেলে বা সেটাকে বিভাজনমূলক ভাবলে সে ক্ষেত্রেও তিনি তাঁর বক্তব্য পুনর্বিবেচনার পক্ষে। ভারসাম্যপূর্ণ, বিভাজন ও ট্যাগিংবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করাটা জনগণের মধ্যকার ঐক্যের জন্য জরুরি। তাঁরা জালিম বা মজলুম কোনোটাই হতে চান না।

মাহফুজ আলম বলেন, ‘আমাদের শত্রু অগণিত এবং তারা সবাই শক্তিধর। মিত্র খুবই কম। একটু ছাড় দিয়ে যদি আমরা মিত্রতা বাড়াতে পারি এবং শত্রুদের পরাস্ত করতে পারি, তা আখেরে এ দেশের জনগণকেই উপকৃত করবে।’

মাহফুজ আলম বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের সকল শক্তির ঐক্যই আমাদের গন্তব্য। একটা হিস্টরিক ব্লক তৈরির সম্ভাবনা আমাদের সামনে ছিল। এখনো আছে বটে। ফ্যাসিবাদবিরোধী ও বাংলাদেশপন্থী জনগোষ্ঠীকে নিজেদের মধ্যেই রাজনৈতিকভাবে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা করতে হবে। কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতিতে স্পেইস দেয়া যাবে না।’

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ