যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্দেশ্যে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলো তাদের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে যেসব প্রস্তাবনা পেশ করেছে, সেগুলো সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবায়ন করা হবে। এর মাধ্যমে রাষ্ট্র কাঠামোর যে অঙ্গগুলো বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে, সেগুলো পুনর্গঠন করা হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার দিকে অগ্রসর হবে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত তারুণ্যের উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, সারা দেশে তারুণ্যের উৎসব হচ্ছে। জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ দেশের তরুণ সমাজ জাতিকে একটু নতুন স্বপ্ন দেখানোর যে প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে, তা সফল করার ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে। দেশকে পুনরুদ্ধারে তারা যেভাবে আত্মত্যাগ করেছে, দেশ পুনর্গঠনেও তারা একইভাবে এগিয়ে আসবে। তারা প্রতিটি সেক্টরে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দেবে এবং আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার ও বিচারের অ্যাজেন্ডা এবং একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটানোর যেই দায়িত্ব নিয়েছে, সেই দায়িত্বে দেশবাসীর সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, দলান্ধ হিংস্র বিভাজনের রাজনীতির খারাপ দিক হলো দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া- জনপ্রশাসনের বিরুদ্ধে এনজিওদের, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে এনজিওদের। এভাবে আমরা ক্ষতি করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের পেছনে ফেরার সুযোগ নেই। আমরা রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছি। যদি গভীর ও নিগূঢ় বাধা তৈরি করা হোক না কেন, বাংলাদেশ উঠে দাঁড়িয়েছে। যথেষ্ট বিভাজন হয়েছে, আর নয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান ও তারুণ্যের উৎসব উদযাপন কমিটির প্রধান ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনসহ অনেকে।
আরএইচ/