শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ।। ২৪ মাঘ ১৪৩১ ।। ৮ শাবান ১৪৪৬

শিরোনাম :
ওমরাহ পালনে মেনিনজাইটিস টিকা নেওয়ার বাধ্যবাধকতা বাতিল শেখ হাসিনা দিল্লি থেকে সন্ত্রাসীদের সক্রিয় করার চেষ্টা করছেন: প্রধান উপদেষ্টা বাকৃবির বঙ্গবন্ধু হলের নাম ‘মাওলানা ভাসানী’ রাখলেন শিক্ষার্থীরা ‘পরাধীনতার কারণেই বাংলাদেশের মানুষ দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছে’ ‘ফ্যাসিবাদের পাতানো ফাঁদে পা দেয়া যাবে না’ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ মানিকগঞ্জ জেলা কমিটি গঠন নারায়ণগঞ্জ জেলায় এডুকেশন গাইডলাইন মজলিস অনুষ্ঠিত  সৌদি আরবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করা যেতে পারে: নেতানিয়াহু ‘কাশ্মীরের জন্য ১০টি যুদ্ধের প্রয়োজন হলেও করতে প্রস্তুত পাকিস্তান’ ইসলামী যুব আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

চলমান পরিস্থিতিতে ইবনে শাইখুল হাদিসের উদ্বেগ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর ইবনে শাইখুল হাদিস। 
   
ওই বিবৃতিতে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন, অভ্যুত্থান ও পরবর্তী সংগ্রামে বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনতার অভূতপূর্ব অংশগ্রহণ এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে নিয়ে এসেছে বাংলাদেশকে। ফ্যাসিবাদের প্রতিটি স্মৃতিচিহ্ন ও প্রতীকের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক তরুণ প্রজন্মের মহাজাগরণ এক অবিস্মরণীয় বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটিয়েছে। আগামীতে ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশপ্রেমিক জনতার কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ দেখার প্রতীক্ষায় আছি আমরা সবাই।

দেশবিরোধী অপশক্তি, তার দোসর ও পরিকল্পনাকারীরা বসে নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, জনতার জাগরণের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে যেকোনো মুহূর্তে। ইতিমধ্যে চিন্তাশীল মানুষের কপালে দুশ্চিন্তার রেখা পড়তে শুরু করেছে। আশঙ্কা হচ্ছে- চলমান আন্দোলনকে সহিংসতার রূপ দিয়ে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ পরিচালনা করা হতে পারে। তাহলে দেশে-বিদেশে ভয়ঙ্কর চাপের মুখে পড়বে বাংলাদেশ।

বিবৃতিতে বলা হয়, রক্তখেকো হাসিনা সরকারের প্রাণ-হন্তারক বুলেটের সামনে বুক চিতিয়ে আত্মোৎসর্গকারী আবু সাঈদ-মুগ্ধদের রক্তস্নাত বিপ্লব পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ সফল অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে, সেখানে পরাজিত অপশক্তির রক্ত ঝরেছে খুব মামুলি। আর এতেই বাংলাদেশের মানুষের ধৈর্য ও সহনশীলতার প্রমাণ পেয়েছে পৃথিবী। এতে হয়তো হতাশ হয়েছে দেশবিরোধী অপশক্তি। তবে হতাশ হলেও হাল ছাড়েনি তারা। আর তাই গভীর আশঙ্কা হচ্ছে যে, চলমান আন্দোলনে বিপ্লব বিরোধী অপশক্তি অনুপ্রবেশ করে একটি সহিংস পরিবেশ তৈরি করবে। এজন্য এখন সর্বাগ্রে প্রয়োজন সচেতনতা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে সচেতন হয়ে রুখে দাঁড়ানো।

দেশের আলেম-ওলামা, ইসলামপ্রিয় জনতাসহ সকল দেশপ্রেমিক নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আরও বলা হয়, কোনো অবস্থাতেই যেন সহিংসতা না ঘটে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়। পরিণামে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিপ্লব। ক্ষতিগ্রস্ত হবে আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে উঠবার সম্ভাবনা। ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ।

এদিকে আজ শুক্রবার পবিত্র জুমাকে কেন্দ্র করেও অতিরিক্ত বিক্ষোভ কিংবা শোডাউনের কর্মসূচি কোনো দায়িত্বশীল মহলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়নি বলে ওই বিবৃতিতে বলা হয়।

আরও বলা হয়, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কিংবা বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস অথবা অন্য কোনো দায়িত্বশীল মহল চলমান সহিংস আন্দোলনের পক্ষে নয়। এমন পরিস্থিতিতে দেশের সকল বিক্ষুব্ধ জনতা ও দেশপ্রেমিক জনগণকে যেকোনো মূল্যে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার আহ্বান জানাচ্ছি ।

দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করা সকল দেশপ্রেমিক জনগণের অলঙ্ঘনীয় দায়িত্ব বলে বিবৃতিতে বলা হয়।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ