জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছিল বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক।
গতকাল (বুধবার) ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় জিজ্ঞাসাবাদে এ স্বীকারোক্তি দিয়েছেন পলক। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।
জিজ্ঞাসাবাদে পলক স্বীকার করেন যে, ভবনে আগুন লাগার কারণে ইন্টারনেট বন্ধ হয়নি, শেখ হাসিনার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছিল।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ও ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয় শেখ হাসিনা সরকার। পাঁচ দিনের মাথায় ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে চালু করা হয় এবং ১০ দিন পর ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়।
এরপর ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন ঘিরে আবারও সরকারের নির্দেশে মোবাইল অপারেটররা দেশজুড়ে ফোর-জি নেটওয়ার্ক সেবা বন্ধ করে দেয়। ইন্টারনেট বন্ধ ছাড়াও সামাজিক যোগযোগমাধ্যম টানা ১৩ দিন বন্ধ ছিল।
আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধের জন্য ডেটা সেন্টারে আগুন, সাবমেরিন কেব্লের তার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, শত শত কিলোমিটার ফাইবার কেব্ল পুড়িয়ে দেওয়াসহ নানা কারণের কথা বলেছিলেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে জিজ্ঞাসাবাদে সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলক জানান, জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের সময় ইন্টারনেটের সকল মাধ্যম গেটওয়ে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। কোনোভাবে আন্দোলনের কোনো বিষয় যেন ছড়িয়ে না পড়ে সেটি নিয়ন্ত্রণ করেন শেখ হাসিনা।
এনএ/