টঙ্গী ইজতেমা মাঠে গভীর রজনীতে তাবলীগ জামায়াতের ঘুমন্ত মুসল্লীদের উপর পূর্ব পরিকল্পিত একপক্ষীয় সন্ত্রাসী কায়দায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ৪জন হত্যা ও বহু মানুষ আহত হওয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি । সেই সাথে সংগঠনটি দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বুধবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমীর আল্লামা সারোয়ার কামাল আজিজী ও মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার বলেন, “তাবলীগ জামায়াত বিশ্বজুড়ে ইসলামের দাওয়াত ও তালীমের কাজ করে যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশে এই সংগঠনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে বিগত কয়েক বছরে হতাহতের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও পহেলা ডিসেম্বর টঙ্গী ময়দানে জোরপূর্বক গেইট ভেঙে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র সজ্জিত হয়ে মাঠে থাকা শুরায়ী নেজাম পরিচালিত তাবলীগের সাথীদের এলোপাতাড়ি মারধর ও কুপিয়ে হত্যা করে এবং হাজারো সাধারণ মুসুল্লিদের আহত করে। তখনও ওলামায়ে কেরাম সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছেন। সর্বশেষ টঙ্গীতে এজতেমা মাঠে মুসল্লীদের উপর গভীর রজনীতে কুপরিকল্পিতভাবে হামলায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”
বিবৃতিতে নেজামে ইসলাম পার্টি প্রশাসনের ব্যর্থতার কঠোর সমালোচনা করে বলেছে, “মাঠে উপস্থিত মুসল্লীদের নিরাপত্তা দিতে প্রশাসন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এ ধরণের সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ডের যথাযথ তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে।”
দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনে সরকারের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করেছে নেজামে ইসলাম পার্টি । বিবৃতিতে বলা হয়, “দীনি প্রতিষ্ঠানে এমন সংঘর্ষ মুসলমানদের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না। বরং এতে দেশ ও ইসলামবিরোধী শক্তি লাভবান হবে এবং তাবলীগ জামায়াতের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”
হাআমা/