বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ ।। ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১২ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
তারাবি নিয়ে ১০ হাফেজের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা ফয়যে বর্ণভী সাবাহী মক্তব বোর্ডের ফলাফল প্রকাশ; পাসের হার ৯৯.৪৯% জাতীয় ঐক্য ছাড়া ফ্যাসিবাদকে বিলোপ করা সম্ভব নয়: নাহিদ ইসলাম ফেসবুকে উপদেষ্টা মাহফুজের ‘মব’ নিয়ে পোস্ট, যা বলল ঢাবি ছাত্রশিবির ইফতা, আদবসহ বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি নিচ্ছে উত্তরার মাদরাসাতুল আযহার লালমাটিয়ায় দুই তরুণীকে সিগারেট খেতে না করা সেই রিংকুকে গ্রেফতার ‘অপরাধের সাম্প্রতিক ব্যাপকতার পেছনে পরাজিত শক্তির রাজনীতি ক্রিয়াশীল' একদিনে ২৯ হাজার কুরআনের কপি বিতরণ সৌদি আরবের ‘দ্রুত বিচার আইনের মাধ্যমে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে’ নির্মাণাধীন ভবনের কাঠ পড়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু 

শান্তিপূর্ণভাবে মুরুব্বিদের নিয়ে তাবলিগের সমস্যা সমাধান করতে হবে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মুরুব্বিদের নিয়ে তাবলিগের সমস্যা সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটায় তাবলিগের বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের ৬ নম্বর গেটের সামনে তাবলিগের শুরায়ী নেজামের আহবানে উলামা মাশায়েখ ও তওহিদি জনতার ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, আমাদেরকে হেফাজত বলে গালি দিতেন। আমরা সহ্য করেছি। ইজতেমা নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সহকারী উপদেষ্টা খোদাবক্স ও জিএমপির কমিশনার নাজমুল করিম খান আওয়ামী লীগের দোসর। তাদের অপসারণ করতে হবে। আমরা সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইজতেমার ময়দানে অবস্থান নিলাম। কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে ওই দুই জনকে দায় নিতে হবে। তারা দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতকে বিনষ্টের ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত।

মাওলানা মামুনুল হক বলেন, আলেম সমাজের প্রতিনিধি ধর্ম উপদেষ্টা এখন দেশের বাইরে। এই সুযোগে খোদাবক্স ও কমিশনার নাজমুল করিম খান এসব করছে। একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মুরুব্বিদের নিয়ে সমস্যা সমাধান করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে আমরা আছি। যেকোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে দায় ওই দুই জনের।

সমাবেশ থেকে বলা হয়, গত ৭ নভেম্বর গৃহীত সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইজতেমার মাঠ শুরায়ী নেজামের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। কোনো অবস্থাতেই মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আসতে দেওয়া হবে না।

মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশ বক্তব্য রাখেন- মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমি, মুফতি আমানুল হক, মুফতি মাসউদুল করিম ও মাওলানা হামেদ জাহেরি প্রমুখ। মুফতি কেফায়েত উল্লাহ আজহারি সমাবেশ পরিচালনা করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানি, মাওলানা আনিসুর রহমান, মাওলানা সালাউদ্দিনসহ দাওয়াত ও তাবলিগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

এ সময় দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের বিরুদ্ধে মানহানিকর মিথ্যা মামলা প্রদানকারীসহ ২০১৮ সালে ১ ডিসেম্বর ইজতেমার মাঠে মাদরাসার ছাত্র ও তাবলিগের সাথীদের ওপর সাদপন্থীদের সন্ত্রাসী হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানেরও দাবি করেন বক্তারা।

এর আগে, মাওলানা সাদকে নিয়ে জোড় ইজতেমা করার দাবিতে সকাল ৯টায় আলটিমেটাম দেন সাদপন্থীরা। গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি থেকে ৩৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম ঘোষণা দেওয়া হয়। অবস্থান কর্মসূচি থেকে বলা হয়, আগামীকাল ১৬ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে পরদিন ১৭ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বাড়ির সামনে লাখ লাখ মুসল্লি নিয়ে তারা অবস্থান নেবেন ও ধর্মঘটের ঘোষণা দেবেন। সাদপন্থীদের এমন ঘোষণায় শুরায়ী নেজামের মুরুব্বিরা ইজতেমা ময়দানে বাদ প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ