রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ।। ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিরোনাম :
বিএনপির হাত ধরেই বাংলাদেশে সংস্কার শুরু হয়েছিল: ফখরুল শেখ হাসিনা-জয়-টিউলিপের দুর্নীতি অনুসন্ধানে হাইকোর্টের রুল আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহ. এর জীবন ও কর্ম সম্মেলন আগামীকাল বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধান উপদেষ্টা সাইকেল চালিয়ে তরুণদের দুর্নীতিবিরোধী অভিনব প্রচারণা শান্তিপূর্ণভাবে মুরুব্বিদের নিয়ে তাবলিগের সমস্যা সমাধান করতে হবে পরিক্ষার্থীকে হেনস্ত করার প্রতিবাদে খাগড়াছড়ি ওলামা ঐক্য পরিষদের বিক্ষোভ  ‘বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানিতে আগ্রহী পাকিস্তান’ র‌্যাব পরিচয়ে শিক্ষার্থী অপহরণ, মুক্তিপণ নিতে এসে নারী আটক বিডিআর বিদ্রোহে হত্যাকাণ্ড নিয়ে হচ্ছে না কমিশন

বিডিআর বিদ্রোহে হত্যাকাণ্ড নিয়ে হচ্ছে না কমিশন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) বিদ্রোহের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড নিয়ে কমিশন গঠন হচ্ছে না। এ ঘটনায় দুইটি মামলা বিচারাধীন থাকায় আপাতত কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার।

রোববার সকালে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চকে এ তথ্য জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।

এর আগে বিডিআর হত্যার পুরো ঘটনার তদন্তে কমিশন গঠনের কথা বললেও রবিবার এমন তথ্য জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর বিডিআর হত্যার পুনঃতদন্ত চেয়ে আন্দোলন শুরু করে সরকার।

এর আগে ২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টকে জানায়, তারা কমিশন গঠন করেছে পরে দুপুরে সেই বক্তব্য থেকে সরে আসে রাষ্ট্রপক্ষ। পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ ঘটনায় প্রথমে রাজধানীর লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। পরে এসব মামলা নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তরিত হয়। সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে হত্যা মামলায় ২৩ বেসামরিক ব্যক্তিসহ প্রথমে ৮২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

এছাড়া বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ৮০৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। পরে আরও ২৬ জনকে অভিযুক্ত করে মোট ৮৩৪ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। বিচার চলাকালে তৎকালীন বিডিআরের ডিএডি রহিমসহ চার আসামির মৃত্যু হয়।

মামলায় আসামিদের মধ্যে বিএনপি নেতা ও সাবেক এমপি নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীরও দণ্ড হয়। সাজা ভোগকালীন পিন্টু অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। রক্তক্ষয়ী ওই বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী এ বাহিনীর নাম পরিবর্তন করা হয়। নাম বদলের পর এ বাহিনী এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হিসেবে পরিচিত।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ