সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ ।। ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ৩০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
টঙ্গীতে কনকনে শীতে বয়ান শুনছেন মুসল্লিরা, আখেরী মোনাজাত কাল ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে আফতাবনগর মাদরাসার তিন দিনব্যাপী ইসলাহী ইজতেমা আগরতলায় দূতাবাসে হামলায় বাংলাদেশের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে হামলা; ঢাকায় কাল বিক্ষোভ ইসলামী আন্দোলনের ভারত বাংলাদেশি কুটনৈতিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে: চরমোনাই পীর হজরত মুফতী আব্দুর রহমান রহ.: কিছু স্মৃতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহ. জীবন ও কর্ম নিয়ে সম্মেলন ১৬ ডিসেম্বর হেফজত আমিরসহ শীর্ষ আলেমদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করল সাদপন্থীরা আল্লামা সুলতান যওক নদভী মেধা ও শিক্ষাবৃত্তির উদ্বোধন  পিলখানা হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে স্বাধীন কমিশন গঠন

আগরতলায় দূতাবাসে হামলায় বাংলাদেশের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ভারতের ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।

এতে বলা হয়, আজ (২ ডিসেম্বর) ভোরে আগরতলার হিন্দু সংগ্রাম সমিতির বিক্ষোভকারীদের দ্বারা বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে হিংসাত্মক বিক্ষোভ ও আক্রমণের জন্য বাংলাদেশ সরকার গভীরভাবে ক্ষুব্ধ।

প্রাপ্ত তথ্য চূড়ান্তভাবে প্রমাণ করে যে, বিক্ষোভকারীদের পূর্ব পরিকল্পিত উপায়ে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রধান ফটক ভেঙে প্রাঙ্গণে আগ্রাসনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এ প্রক্রিয়ায় স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে তারা পতাকার খুঁটি ভাঙচুর করে। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করে এবং সহকারী হাইকমিশনের অভ্যন্তরের সম্পত্তিও ক্ষতিগ্রস্ত করে।

বিবৃ‌তিতে উল্লেখ করা হয়, প্রাঙ্গণ রক্ষার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় পুলিশ সদস্যরা শুরু থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ছিল না। সহকারী হাই কমিশনের সব সদস্য গভীর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বাংলাদেশ সরকার আরও উল্লেখ করতে চায় যে, গত ২৮ নভেম্বর কলকাতায়ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনের ওপর এই ধরনের জঘন্য হামলা এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়।

আগরতলায় এই ঘটনা ১৯৬১ সালে ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে। যেহেতু কূটনৈতিক মিশনগুলোকে যে কোনো ধরনের অনুপ্রবেশ বা ক্ষতি থেকে রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব, তাই বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার জন্য আহ্বান জানায়। একই সঙ্গে ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধ, কূটনীতিক, অ-কূটনৈতিক সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানায়।

এর আগে, সোমবার আগরতলা বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে হিন্দুত্ববাদী একটি সমিতির সদস্যরা। আগরতলার সার্কিট হাউস অবস্থিত গান্ধী মূর্তির সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। পরে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ছয়জনের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে গিয়ে স্মারকলিপি দেয়।

এক পর্যায়ে সমিতির বিক্ষুব্ধ সদস্যরা সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে প্রবেশ করে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলেন এবং সেই পতাকা ছিঁড়ে ফেলেন। পরে ভবনের সামনে থাকা সাইনবোর্ড ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেন।

এ ঘটনায় ভারত সরকার ইতোমধ্যেই দুঃখ প্রকাশ করেছে।

বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আগরতলায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের প্রাঙ্গণ ভাঙার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। কোনো অবস্থাতেই কূটনৈতিক এবং কনস্যুলার সম্পত্তি লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এমন অবস্থায় নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি/সহকারী হাইকমিশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ