রাজধানীতে ভুল চিকিৎসায় শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত দুইদিনে হামলা ও সংঘর্ষে জড়ায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা, কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া সম্প্রতি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা ও সিটি কলেজের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এসব হামলার পেছনে তৃতীয় কোনো গোষ্ঠীর ইন্ধন থাকতে পারে বলে মনে করছে সরকার। এসব আন্দোলনে কারও ইন্ধন থাকলে কঠোর হাতে তা দমন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম।
তিনি জানান, রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের সংঘর্ষে না জড়িয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ধরনের সংঘাতের পেছনে কোনো ইন্ধন থাকলে কঠোর হাতে দমন করা হবে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) এসব কথা জানান প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে সংঘাত-সংঘর্ষ হয়েছে, সরকার তার প্রতি নজর রাখছে। আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের কোনো ধরনের সংঘর্ষে না জড়িয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানাই।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের সংঘাতের পেছনে কোনো ইন্ধন আছে কি না, আমরা খতিয়ে দেখছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ দেশের অন্য যেকোনো অঙ্গনে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা কঠোর হাতে দমন করা হবে।
এর আগে সকালে যাত্রাবাড়ী এলাকায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ এবং ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে রবিবার রাতে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইল (বুটেক্স) ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
হাআমা/