বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী ফ্যাসিস স্বৈরশাসকের পতনের মাধ্যমে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছি। নতুন বাংলাদেশের এই স্বাধীনতা রক্ষায় আমাদের প্রত্যেককে সজাগ থাকতে হবে। ভবিষ্যতে কোনো স্বৈরশাসক বাংলাদেশে জন্ম নিতে না পারে সেই লক্ষ্যে অন্তর্বতী সরকার বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে।
আমরা তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। কিন্তু এই সু্যোগে একটি মহল রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে বাদ দেওয়ার অপচেষ্টা করছেন। দেশের ধর্ম প্রাণ মানুষ তা মেনে নিবে না। সরকারকে অবশ্যই রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাখতে হবে এবং আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আল-কাউসার পরিষদ বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত "সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবনা" শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তরা এসব দাবি করেন।
তারা বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে ইসলাম বিদ্ধেষী সংবিধান করতে দেওয়া হবে না।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. সারোয়ার হোসেন, মাওলানা সাঈদুর রহমান, মাওলানা আব্দুল হালীম, মুফতি লুকমান হাসান, মুফতি আহসানুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা আরও বলেন, বিগত ফ্যাসিস সরকার বিসমিল্লাহর অর্থ বিকৃতি করেছেন। এই সরকারকে নতুন সংবিধানে অবশ্যই বিসমিল্লাহর সঠিক অর্থ সংযোজন করতে হবে। ধর্মীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দেশের বিজ্ঞ আলেমদের পরামর্শ নিতে হবে বলেও দাবি করে।
প্রোগ্রামে প্রবন্ধ পাঠ করেন মুফতি আব্দুল্লাহ মাসুম। এসময় তিনি রাষ্ট্রের কল্যাণে পৃথক শরীয়া বোর্ডের দাবি করেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা সাখাওয়াত হুসাইন, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মাওলানা সুহাইল আহমদ, মুফতি সাইদ আহমদ, মাওলানা সাদ মাশফিক খান, মাওলানা জায়নুল আবেদীন প্রমুখ।
হাআমা/