বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৯ কার্তিক ১৪৩১ ।। ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জুলাই গণহত্যার ১০০তম দিন: টিএসসিতে শহীদ পরিবারের আর্তনাদ দ্বীনিয়াতের প্রধান মাওলানা সালমানের জন্য দোয়া চাইলো পরিবার রংপুরে জুম্মাপাড়া মাদরাসার ২ দিন ব্যাপী তাফসির মাহফিল আগামীকাল ন্যায়পরায়ণ-আল্লাহভীরু শাসক ছাড়া শান্তির আশা করা যায় না: চরমোনাই পীর সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের শরীআহ চেয়ারম্যান হলেন মাওলানা মাহফজুল হক সংবিধান থেকে ‘জাতির পিতা’ ও ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’ বাতিল চাই: অ্যাটর্নি জেনারেল আসছেন না মাওলানা সাদ; আগের নিয়মেই চলবে কাকরাইল ও ইজতেমার মাঠ কাল বাদ ফজর বসুন্ধরা মারকাজে বয়ান করবেন মাওলানা ইলিয়াস গুম্মান বইমেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই হচ্ছে রমজান সামনে রেখে প্রস্তুত হচ্ছে রিয়্যালিটি শো ‘পবিত্র কুরআনের আলো’

‘ইমামে আযম’ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত, ধর্মীয় মতবিরোধ ছেড়ে সহনশীল আচরণের আহবান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইমামে আযম আবু হানিফা রহ. কেবল একজন ফকীহ বা ইসলামী আইনজ্ঞই ছিলেন না; বরং তিনি ইসলামের ভাবগাম্ভীর্য ও মূল আবেদনকে ঠিক রেখে উম্মাহের জন্য ইসলামকে জীবনঘনিষ্ঠ, সহজতর ও বাস্তবমুখী করে উপস্থাপনের অন্যন্য এক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি ফিকহের বড় ইমাম ছিলেন, অসংখ্য হাদিসের হুফফাজ ছিলেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, তিনি ছিলেন একজন বড় তাবেঈ। ইসলামী ইতিহাসের সাড়ে তের’শ বছরে যতগুলো মুসলিম সাম্রাজ্য অতিবাহিত হয়েছে, সবগুলোতে বিচার, আইন, শিক্ষা ও রাষ্ট্রনীতিতে অনুসৃত নীতি ছিলো ফিকহে হানাফী।

আজ ১২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ বিএমএ মিলনায়তনে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী দা.বা. এর সভাপতিত্বে ইমামে আযম আবু হানিফা রহ. এর জীবন, কর্ম ও অবদান শীর্ষক ‘আন্তর্জাতিক ইমামে আজম কনফারেন্স’-এ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুতাকাল্লিমে ইসলাম ও ফিকহে হানাফীর ভাষ্যকার মাওলানা ইলিয়াস গুম্মান হাফি। কনফারেন্সে উপস্থিত আলোচকবৃন্দ উপর্যুক্ত কথা বলেন।

আল্লামা ইলিয়াছ গুম্মান (পাকিস্তান) বলেন, আমি তলেবে ইলমদের প্রতি অনুরোধ করবো, আপনারা ইলম তলব করুন। খানকাগুলোর সাথে তাআল্লুক রাখুন। মুরব্বিদের পরামর্শে জীবন পরিচালনা করুন। মুরব্বিদের প্রতি সম্মান বজায় রাখুন।

বক্তারা বলেন, উম্মাহর মাসলাক ও ফিরকাগত মতানৈক্যকে এদেশে সবসময় রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যার ফলে মানুষ ইলমী ও ফিকহী মতানৈক্যের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয় এবং মতানৈক্য মতবিরোধে রূপ নেয়। অথচ ইমামে আযম আবু হানিফা রহ. সহ ফিকহের ইমামগণ এবং আমাম বুখারী রহ. সহ হাদীসের ইমামগণ চেয়েছেন দীন ও শরীয়তকে মানুষের জন্য সহজতর করতে। মতভিন্নতার মাধ্যমে নতুন নতুন সমাধান বের করে নিয়ে আসতে। কিন্তু আজ দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, বড়দের সেসব মতাক্যৈ ক্ষেত্রবিশেষ গোষ্ঠিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।

কনফারেন্স-এ আরও বক্তব্য রাখেন, মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আল-ফরিদী, মাওলানা আবদুল মতিন, মাওলানা শফি কাসেমি, মাওলানা ডক্টর নুরুল আবসার আজহারি, মাওলানা আবদুল মজিদ, মাওলানা জুবায়ের আহমদ, মাওলানা সাঈদ আহমদ, মুফতি আবদুল্লাহ মাসুম, মুফতি লুৎফুর রহমান ফারায়েজি, মুফতি বেলাল বিন আলী প্রমূখ।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ