বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২২ কার্তিক ১৪৩১ ।। ৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


জেদ্দা হজ ও উমরা সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সৌদি আরবের জেদ্দায় আগামী বছরের ১৩ জানুয়ারি শুরু হবে পবিত্র হজ ও উমরা পরিষেবা সম্মেলন ও প্রদর্শনী।

হজযাত্রীদের অভিজ্ঞতা আরো সমৃদ্ধ করতে চতুর্থবারের মতো সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে। এতে সারা বিশ্ব থেকে হজ ও উমরা সেক্টরের আগ্রহীরা অংশ নেবেন এবং নিজেদের নতুন ভাবনাগুলো তুলে ধরবেন।

সৌদি বাদশাহ সালমানের পৃষ্ঠপোষকতায় হজ ও উমরা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে জেদ্দা সুপারডোমে চার দিনব্যাপী এ সম্মেলন চলবে।

হজবিষয়ক এ সম্মেলন বাংলাদেশের হজ ও উমরা এজেন্সির স্বত্বাধিকারী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, অংশীদার ও প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সৌদি আরবের হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে চিঠি বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক সংশ্লিষ্ট সবার জন্য সৌদি দূতাবাস সহজে ভিসা প্রদানের ব্যবস্থা করবে। তবে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে নিজ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরবে গমন ও অবস্থান করতে হবে।

মূলত সৌদি আরবে ভিশন ২০৩০-এর অংশ হিসেবে হজযাত্রীদের অভিজ্ঞতা শীর্ষক এ প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। এই সম্মেলনে হজ ও উমরাযাত্রীদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি হজ পরিষেবার মান বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করা হবে।

চার দিনব্যাপী এ সম্মেলনে হজ ও উমরা সংশ্লিষ্ট প্যানেল আলোচনা, ওয়ার্কশপ ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।

এতে হজ পরিষেবার উন্নয়নে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রভাব, পবিত্র শহর ও স্থানগুলোর ভবিষ্যত পরিকল্পনা এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন, হজে সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা বৃদ্ধি, হজ ও উমরা বাস্তবায়নে কূটনৈতিক সহযোগিতা, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার, পরিবহন পরিষেবার উন্নয়ন, সমন্বিত লজিস্টিক কৌশল, প্রযুক্তি পরিষেবার মাধ্যমে জ্ঞান সমৃদ্ধ করা, হজে মিডিয়ার ভূমিকা, হজযাত্রীদের সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতার উন্নয়ন বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনা হবে।

গত বছর হজ ও উমরা সম্মেলনে এক লাখের বেশি দর্শনার্থীর সমাবেশ হয়।

হজ ও উমরা সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৮০ জন মন্ত্রী এবং হজ প্রতিনিধি দল যোগ দেয়। সেই সঙ্গে বিদেশের ২৭টি সংস্থা সৌদি আরবের ২০০টিরও বেশি পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল।

প্রদর্শনীতে পবিত্র কাবার গিলাফ ‘কিসওয়া’র একটি বিরল সংস্করণ উপস্থাপন করা হয়। যা ১৩৫৬ হিজরি মোতাবেক ১৯৩৮ খিস্টাব্দে বাদশাহ আবদুল আজিজ বিন আবদুর রহমান আলে সৌদ পবিত্র কাবার জন্য উৎসর্গ করেছিলেন।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ