গণভবনকে জাদুঘরে রূপ দিতে ১৯ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।
শনিবার (২ নভেম্বর) জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এই কথা জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।
এ সময় ‘গণভবন স্মতি জাদুঘর জনগণের ‘পেইন ও গ্লোরি’ ধারণ করবে’ বলে মন্তব্য করেছেন মাহফুজ আলম।
তিনি বলেন, গণভবনকে জুলাই স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তর করতে একটি ‘আহ্বায়ক কমিটি’ গঠন করা হবে। এই কমিটির সঙ্গে এডভাইসরি কমিটিও থাকবে। খুব শিগগিরই কমিটি তার কার্যক্রম শুরু করবে। একটা সময় পরে এটা জনগণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি বলেন, গণভবন যেটা আসলে গণবিরোধী ছিল। যেখানে বসে ছিলেন একজন ফ্যাসিস্ট ও খুনি। বাংলাদেশের মানুষের সাথে দম্ভের সঙ্গে আচরণ করত। বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের মানবিক মর্যাদা বাঁচাতে এখানে এসে তার দম্ভে ভেঙে দিয়েছে।
গণভবনকে ‘দুঃখ ও বিজয়ের চিহ্ন’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, এই ভবনটা বাংলাদেশের মানুষের ১৬ বছরের দুঃখ-যাতনার জায়গায়। একই সঙ্গে বিজয়েরও স্মুতি চিহ্ন। মূলত এই জায়গায় ‘পেইন ও গ্লোরি’ ধারণ করবে। ফ্যাসিস্ট খুনির বিরুদ্ধে জনগণের বিজয়কে দেশ ও বিদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরবে।
এনএ/