বিদেশে যাওয়া-আসার পথে প্রবাসীদের ভিআইপি সুবিধা নিশ্চিত করতে বিমানবন্দরে বিশেষ লাউঞ্জ তৈরি করা উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ৮ আগস্ট প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ঘোষণা লাউঞ্জ তৈরির ঘোষণা দেন। এরমধ্যেই ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রস্তুত হয়েছে প্রবাসী লাউঞ্জ।
প্রবাসীরা ইমিগ্রেশনের পর এই লাউঞ্জে প্রবেশ করবেন। সেখানে অন্যান্য সুবিধার পাশাপাশি তাদের জন্য থাকবে কম মূল্যে খাবারের সুব্যবস্থা। এ সপ্তাহেই বিশেষ এই লাউঞ্জের সুবিধা পেতে যাচ্ছেন প্রবাসীরা।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. সারওয়ার আলম গণমাধ্যমকে জানান, প্রবাসী লাউঞ্জ রেডি হয়ে গেছে। আমরা এখন থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কিছু কাজ শুরু করব। এ সপ্তাহের মধ্যেই এর কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে।
তিনি জানান, বিমানবন্দরের ফুডকোর্টের সঙ্গের খোলা বসার জায়গাটিই এখন এই বিশেষ লাউঞ্জ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এখানে সব প্রবাসীই বসতে পারবেন। তবে প্রাধান্য পাবেন ‘প্রবাসী কল্যাণ’ বা বিএমইটি কার্ডহোল্ডাররা।
এ বিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম জানান, আমরা প্রস্তুত আছি। এমনিতেই বিমানবন্দরের যাত্রীসেবার মান আগের চেয়ে উন্নত করা হয়েছে। এর সঙ্গে এবার প্রবাসীদের জন্য যে বিশেষ লাউঞ্জ চালু হবে তাতে বিমানবন্দরে যাত্রীসেবার মান আরও বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, প্রবাসীরা ইমিগ্রেশনের পর এই লাউঞ্জে প্রবেশ করবেন। সেখানে খাবারের সুব্যবস্থা থাকবে। বিশেষ করে যাদের বিএমইটি বা ‘প্রবাসী কল্যাণ' কার্ড থাকবে তারা অন্যদের থেকে কম মূল্যে এখান থেকে খাবার কিনতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রামের শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এই তিনটি বিমানবন্দরে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক রয়েছে। বিদেশগামী এবং বিদেশফেরত কর্মীরা এখানে বিভিন্ন ধরনের সেবা পেয়ে থাকেন। এর মধ্যে বিদেশগামী কর্মীদের বিদেশ যাওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ ও সময়ে সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দরে অবস্থিত প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কে উপস্থিতির পর তাদের বোডিং কার্ড সংগ্রহ, বহির্গমন ফরম পূরণ, স্মার্ট কার্ড যাচাই, ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স গ্রহণসহ বিমানে ওঠার আগে পর্যন্ত সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়।
পাশাপাশি দেশে ফিরে আসা কর্মীদের বিমানবন্দরে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ, ইমিগ্রেশন, কাস্টমস সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করা হয়। এ ছাড়া বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মী এবং ফেরত আসা কর্মীদের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক থেকে জরুরি প্রয়োজনে পরিবারের সঙ্গে ফ্রি কল করার সেবা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বিদেশ থেকে আগত আহত, অসুস্থ ও মৃত কর্মী পরিবহনের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস দেওয়া হয়।
এনএ/