জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেছেন, দীর্ঘ ষোল বছরের এক লুটেরা সরকারের পতন নিশ্চিত করতে অসংখ্য শহীদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে বাংলাদেশ। স্বাভাবিক কারণে এত রক্তের সাথে বেঈমানী করার কোন সুযোগ নেই। এখন প্রয়োজন সকল রকম বৈষম্য দূর করে এই রাষ্ট্রটাকে সুন্দর করে সাজানোর, এখন প্রয়োজন একটি ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের। এ লক্ষ্যে আলেম সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম জামালগঞ্জ উপজেলার উদ্যোগে আয়োজিত এক গণসমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেছেন।
উক্ত গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া বলেছেন, দুর্নীতি ও বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র চাইলে সকলকেই সচেতন হতে হবে। আগামীর বাংলাদেশে যখন প্রত্যাশিত নির্বাচন আসবে তখন প্রতিটি এলাকায় সৎ যোগ্য ও বিশ্বস্ত প্রার্থীকে বেছে নিতে হবে। এ লক্ষ্যে দলের প্রতিটি ইউনিটকে দিবারাত্রি পরিশ্রম করতে হবে এবং ঘরে ঘরে জমিয়তের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ২টায় জামালগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় সাচনা বাজার বটতলায় উপজেলা জমিয়তের সভাপতি মাওলানা শায়খ আব্দুল কাদির সাহেবের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা লুৎফুর রহমান, যুব জমিয়তের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আলতাফুর রহমান ও যুবনেতা মাওলানা মাসরূর আহমদের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত গণসমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন জমিয়তের যুগ্মমহাসচিব ও সুনামগঞ্জ জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজ, বিশেষ বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তৈয়্যিবুর রহমান চৌধুরী।
জামালগঞ্জ উপজেলা জমিয়তের উপদেষ্টা মাওলানা এখলাছুর রহমানের উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে বেলা ২ ঘটিকা হতে শুরু হওয়া এই গণসমাবেশ চলে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। এতে দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা রফীক আহমদ উলাশনগরী,মাওলানা তাফাজ্জল হক,মাওলানা আবুল কালাম ও জেলা যুব জমিয়তের সভাপতি হাফেজ মাওলানা তাহা হোসাইন। আরো উপস্থিত ছিলেন যুব জমিয়ত বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আব্দুল আহাদ মিয়াজী।
হাআমা/