|| মুহাম্মাদ ইয়ামিন ||
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চার সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সদস্য সচিব হিসেবে আরিফ সোহেলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাত ৮টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনা করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির বাকি দুজন হলেন- মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসুদ এবং মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ করতে বলা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই ব্যানার কখনো রাজনৈতিক দল হিসেবে আবির্ভূত হবে বলে জানান সমন্বয়করা।
সংবাদ সম্মেলনে সারজিস আলম বলেন, স্বাধীনতার পরে দেখা গেছে অনেক ভুয়া সমন্বয়ক পরিচয়ে অকাজ করার চেষ্টা করেছে। আমরা সেটা প্রতিরোধ করেছি। তাদেরকে যেন আইনের আওতায় নিয়ে আসা যায় সেজন্য এই কমিটির প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের সারাদেশের ছাত্র-জনতা যারা জীবনবাজি রেখে আন্দোলন করেছে তাদের খুঁজে এনে যেন আমরা একটা স্ট্রাকচারের ভেতরে আনতে পারি সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। পরে তাদের যুক্ত করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, যারা এই বিপ্লবকে প্রতিষ্ঠিত করেছে তাদেরকে এই কমিটিতে রাখা প্রয়োজন বলে মনে করি। সারজিস আলম দেশের স্বাধীনতার পরেই শহীদ পরিবার নিয়ে কাজ শুরু করে এখন পর্যন্ত তিনি এই কাজ করে যাচ্ছে। তাই সারজিস আলমের কাজ হলো শহীদ পরিবারের সম্মাননা প্রদান। রাষ্ট্রের প্রথম ধাপেই এই কাজ করা উচিত। এটা যেন দীর্ঘায়িত না করা হয়। ব্যুরোক্র্যাটিক লেজুড়বৃত্তির জন্য যেন পিছিয়ে না যায়।
উমামা ফাতেমা বলেন, হাজার হাজার মানুষের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আজকে এই কমিটি গঠিত হয়েছে। আমরা দেখতে পারছি নারীদের অংশগ্রহণ কমে গেছে। আমরা গণঅভ্যুত্থান এর আকাঙ্ক্ষা যেন ছড়িয়ে দিতে পারি সেটা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে সরকার ও জনগণকে পথ দেখাতে পারব। সবাইকে নিয়ে আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করতে পারব সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাব৷
আবু বাকের মজুমদার বলেন, আমরা যুবকদের সর্বদা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যাবে। জেন-জি এর আশা আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যাব।
সংবাদ সম্মেলনে সদস্যসচিব হিসেবে আরিফ সোহেল, সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, আবু বাকের মজুমদার, মাহিন সরকার, রিফাত রশিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এনএ/