ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, গত ১৬ বছর ধরে আমরা নির্যাতিত হয়েছি নিপীড়িত হয়েছি, আমাদের পরিচয় আমরা মজলুম। সুতরাং এই জুলুমের বিরুদ্ধে আমাদের মজলুমের সংগ্রাম চালু থাকবে। ছাত্রদলের যে ভাইয়েরা রয়েছেন, শিবিরের যে ভাইরা রয়েছেন, সতর্ক হোন সচেতন হোন, আমরা এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চালু রাখব।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ শাপলা চত্বরে আওয়ামী ষড়যন্ত্র ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে মশাল মিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। আবু সাঈদ এবং মুগ্ধের রক্তের প্রতি এখনও দায়বদ্ধতা রয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ছাত্রলীগের গুন্ডাবাহিনী এক একটি জেলখানায় পরিণত করেছে। এই ছাত্রলীগের পুনরুত্থান ঠেকাতে যতগুলো বিরোধী শক্তি রয়েছে আমাদেরকে সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী যতগুলো শক্তি রয়েছে আমাদের সকলকে একত্রিত থাকতে হবে। আপনি হতে পারেন ছাত্রদল, আপনি হতে পারেন শিবির, হতে পারেন ডান, হতে পারেন বাম। এখন শুধু আমাদের একটাই পরিচয় আমরা স্বৈরাচারের বিরোধী।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ সমন্বয়ক বলেন, এই ফ্যাসিবাদী সরকার আপনার এবং আমাদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করবে। আপনাকে ছাত্রদল হিসেবে আলাদা করবে, শিবির হিসেবে আলাদা করবে। বাম-ডান হিসেবে আলাদা করবে। শুধু আমাদের একটাই পরিচয়, আমরা হচ্ছি মজলুম। সুতরাং এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি থাকবে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আপনারা জানেন আমাদের মধ্যে জাতির পিতা নামে শেখ মুজিবকে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে আপনারা জানেন মেজর জিয়ার অবদানকে অস্বীকার করেছিল। জিয়াউর রহমান, যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন তাকে রাজাকার বানানো হয়েছিল এ সরকারের আমলে। মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যাদের যাদের অবদান রয়েছে, এই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রত্যেকের যথাযথ হিস্যা প্রদান করতে হবে। যেখানে মেজর জিয়াকে হিস্যা দিতে হবে, সবাইকে হিস্যা দিতে হবে।
‘নয় মাস পাকিস্তানে থেকে বাংলাদেশে এসে শেখ মুজিবকে জাতির পিতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে, আমাদের ওপর চাপিয়ে দেবে, সেটা আমরা কখনোই মেনে নেব না।’
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হান্নান মাসুদ, কুমিল্লার সমন্বয়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসেন, রাশেদুল হাসান, রুবেল হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এনএ/