বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৩ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সাগরে আবারও লঘুচাপের শঙ্কা, বাড়তে পারে বৃষ্টি আল-আযহার থেকে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ ফলাফল নিয়ে এমফিল ডিগ্রি অর্জন সকল কর্মকাণ্ডের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা  কাতারে কর্মসংস্থান বাড়াতে স্টার অফ ফেনী রেস্টুরেন্ট তৃতীয় শাখার উদ্বোধন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য মালয়েশিয়ার বড় সুখবর জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউ‌ন্ডেশনে প্রধান উপ‌দেষ্টার ১০০ কোটি টাকা অনুদান আন্দোলনে হতাহতদের ভাতা দিবে সরকার: তথ্য উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি গুজব: আসিফ মাহমুদ

বৃদ্ধি পাচ্ছে নদীর পানি, প্লাবিত হতে পারে চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে নদ-নদীর পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগে নদীর পানি আগামী দুদিন (শনি ও রবিবার) সমতল থেকে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলার কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

পূ্র্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, ফেনী ও গোমতী নদীর পানিতে সমতল হ্রাস পাচ্ছে। অন্যদিকে হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে।এছাড়াও দেশে এবং উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চট্টগ্রামে পাহাড়ি ঢল বাড়তে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানান, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদীগুলোর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ অবস্থান করছে এবং আগামী দুদিন উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।ফলে এই সময় বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দুদিন চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, ভারী বর্ষণে কক্সবাজার শহরের ৯০ শতাংশ এলাকা ডুবেছে। শহরের প্রধান সড়ক, সৈকত সড়কসহ অন্তত ৩৫টি উপসড়ক বৃষ্টির পানিতে ডুবে কয়েক শ দোকানপাটের মালামাল নষ্ট হয়েছে। হাজারো ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ায় মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জলাবদ্ধতার কারণে সৈকতে হোটেল মোটেল জোনের ১৮টি সড়ক ডুবে গেছে। পাঁচ শতাধিক হোটেল মোটেলের কয়েক হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন।

টানা ১২ ঘণ্টার ভারী বর্ষণে কক্সবাজারে পাহাড়ধসে ৬ জন নিহত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিন জন শহরতলির ঝিলংজার দক্ষিণ ডিককুল এলাকায় বাসিন্দা ও তিন জন উখিয়া রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা। তাদের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিভীষণ কান্তি দাশ। 

জেএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ