বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৩ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
আল-আযহার থেকে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ ফলাফল নিয়ে এমফিল ডিগ্রি অর্জন সকল কর্মকাণ্ডের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা  কাতারে কর্মসংস্থান বাড়াতে স্টার অফ ফেনী রেস্টুরেন্ট তৃতীয় শাখার উদ্বোধন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য মালয়েশিয়ার বড় সুখবর জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউ‌ন্ডেশনে প্রধান উপ‌দেষ্টার ১০০ কোটি টাকা অনুদান আন্দোলনে হতাহতদের ভাতা দিবে সরকার: তথ্য উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি গুজব: আসিফ মাহমুদ ‘ইসলামী আন্দোলন’ নিছক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের জন্য আন্দোলন করে না: চরমোনাই পীর

সংবিধানের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ডয়েচে ভেলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সংবিধান নতুন করে লেখা বা সংশোধনের বিষয়ে আগে একমত হতে হবে। কারণ এর উপর ভিত্তি করে নির্বাচন হবে। এটা না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের রূপরেখা ঠিক করা যাচ্ছে না।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। বুধবার ডয়েচে ভেলে সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছে।

ড. ইউনূসের কাছে জানতে চাওয়া হয়-রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি সংবিধান পুর্নলিখনের দাবিও উঠেছে। বলা হচ্ছে সংবিধান পুনর্লিখন ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন?

জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা মস্ত বড় সুযোগ। এই সুযোগ জাতির জীবনে আর আসবে কিনা জানি না। না আসাটাই স্বাভাবিক হোক। গোড়াতে হাত দিতে হবে, সংবিধানে হাত দিতে হবে। তো সেখানে প্রশ্ন হচ্ছে- সংবিধান নতুন করে লিখতে হবে, নাকি এই সংবিধানই কিছু সংশোধন করা হবে? এ বিষয়ে মতভেদ আছে। এইজন্য কমিশন হবে, বিচার বিবেচনা করবে, একমত হবে। এর উপর ভিত্তি করে নির্বাচন হবে। এটা না হওয়া পর্যন্ত তো আমরা নির্বাচনের রূপরেখা ঠিক করতে পারছি না। কী ধরনের নির্বাচন হবে, কী কী নির্বাচন হবে- সবকিছুই সংবিধানের ভিতরে থাকবে। পুরো আন্দোলনের ব্র্যান্ড নেইম হচ্ছে সংস্কার। সংস্কার হচ্ছে আকাঙ্ক্ষা। আমরা সেই আকাঙ্ক্ষার অংশীদার। আমরা দায়িত্ব নিয়েছি যেন আমরা সেই আকাঙ্ক্ষা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পূরণ করতে পারি।’

সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার যেসব অভিযোগ উঠছে সেসব বিষয়ে স্থায়ী সমাধান কী হতে পারে জানতে চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের একক সমস্যা না। সব দেশেই সংখ্যালঘু নিয়ে সমস্যা হয়। অ্যামেরিকাতেও সংখ্যালঘু নিয়ে সমস্যা আছে। সরকারের দায়িত্ব এটা না হওয়া। সংবিধানের অধিকার সবার প্রাপ্য। আমরা তো হিন্দুর প্রাপ্য, মুসলমানের প্রাপ্য কি বৌদ্ধর প্রাপ্য এরকম করে ভাগ করে দেই নাই। সরকারের দায়িত্ব হলো এই অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা করা। এই অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা হলেই আর ধর্মীয় বিভাজনের প্রশ্ন উঠবে না। যতদিন প্রতিষ্ঠিত না হচ্ছে, ততদিন আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে। তবে আমি বলবো যে,  যেই পরিমাণ প্রচার হচ্ছে সেই পরিমাণ আমাদের দৃষ্টিতে আসছে না। আমরা বারে বারে খোঁজ-খবর নিচ্ছি। কিন্তু মনে হচ্ছে না যে অত বড় কিছু আসলে হচ্ছে।  অনেকে এটা রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করছে। যেটুকু হচ্ছে সেটা যেন না হয়, শূন্যের কোঠায় পৌছায় সেদিকে আমরা যাবো।’

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ