ছাত্র আন্দোলনে সরকারি চাকরিতে কোটাকেন্দ্রিক বৈষম্য দূর হয়েছে। তবে দেশে এখনো ঘুষ, দুর্নীতি ছাড়াও নানা সমস্যা বিদ্যমান, যেগুলো ‘নতুন বাংলাদেশে’ থাকবে না বলে প্রত্যাশা ইসলামি ব্যক্তিত্ব ও আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ’র।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘যেমন বাংলাদেশ চাই’ শিরোনামে দেয়া এক পোস্টে এ প্রত্যাশার কথা জানান তিনি।
জুমার নামাজের পর দেয়া ওই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে অনেকেই শায়খ আহমাদুল্লাহ’র সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। ফেসবুকে দেয়া ওই পোস্টটিতে ইসলামি এ আলোচক ৩৫টি বিষয় তুলে ধরেছেন। পাঠকদের জন্য সেগুলো তুলে ধরা হলো-
■ সরকারি অফিস-আদালত ঘুষ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও দলীয় প্রভাব মুক্ত থাকবে।
■ সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে। কিন্তু মত প্রকাশের নামে কারও আবেগ-অনুভূতিতে আঘাত করা হবে না।
■ ভিন্ন মতের কারণে কেউ গুম, খুন বা হয়রানির শিকার হবে না।
■ আয়নাঘরের মতো অভিশপ্ত কোনো নির্যাতন কেন্দ্র থাকবে না।
■ সরকারি সেবা পেতে কারও মাধ্যম বা টেলিফোনের প্রয়োজন হবে না।
■ আইন ও নীতি প্রণয়নে দেশের মানুষের বিশ্বাস ও মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটবে।
■ বিচারকার্যে কেউ অন্যায় হস্তক্ষেপ করবে না এবং সবাই ন্যায়বিচার পাবে।
■ বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের সর্বোচ্চ আস্থা তৈরি হবে।
■ আইনের শাসন থাকবে।
■ জাতীয় শিক্ষানীতি ও পাঠ্যপুস্তকে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিশ্বাস ও সামাজিক মূল্যবোধের রিফ্লেকশন (প্রতিফলন) হবে।
■ শিক্ষার নামে কারও ওপর তার ধর্ম ও বিশ্বাসবিরোধী কিছু চাপিয়ে দেয়া হবে না।
■ দেশের মানুষের বিশ্বাস ও চেতনা পরিপন্থী বিষয় এবং পশ্চিমা সংস্কৃতি আমদানি করা হবে না।
■ প্রবাসীদের প্রতি হয়রানি বন্ধ হবে এবং দেশের সকল সেবায় তাদের জন্য বিশেষ প্রায়োরিটি (অগ্রাধিকার) থাকবে।
■ বেকারত্ব দূরীকরণে তরুণদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ ও সুদমুক্ত ঋণ দিয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার পথ সুগম হবে।
■ বিনোদন ও সংস্কৃতির নামে বেহায়াপনা ও অশ্লীলতা বন্ধ হবে।
■ দাড়ি, টুপি, হিজাব ও ইসলামপন্থীদের প্রতি বৈষম্য ও বিমাতাসুলভ আচরণ দূর হবে।
■ সংখ্যালঘুরা নিপীড়িত হবে না।
■ ইসলামপন্থীদের প্রতি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বৈষম্য দূর হবে।
■ ইমাম-খতিবদের হক কথা বলার স্বাধীনতা থাকবে।
■ সকল নিয়োগ, পদায়ন ও পদোন্নতি হবে কেবল মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে।
■ দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।
■ অধিক মুনাফাখোরী ও মজুতদারী থাকবে না।
■ নিরাপদ খাদ্য, পানীয় এবং ওষুধ নিশ্চিত হবে।
■ চিকিৎসার মান উন্নত ও আস্থাশীল হবে।
■ ছাত্র সংসদ ছাড়া শিক্ষাঙ্গনে লেজুড়বৃত্তিমূলক ছাত্র রাজনীতি থাকবে না।
■ দুর্নীতি, অনিয়ম এবং খাদ্যে ভেজাল মিশ্রণের শাস্তি হবে সবচেয়ে কঠোর।
■ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অপসংস্কৃতি থাকবে না।
■ পণ্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে সকল প্রকার চাঁদাবাজি, নৈরাজ্য ও সিন্ডিকেট দূর হবে।
■ ঢাকার ট্রাফিক জ্যাম কমে যাবে।
■ যত্রতত্র বাস স্টপেজ এবং বাস-ট্রাক পার্কিং বন্ধ হবে।
■ কৃষক তার শ্রমের ন্যায্য মূল্য পাবে।
■ শ্রমিকের প্রতি কোনো অবিচার হবে না।
■ সব ধরনের জালিয়াতি ও প্রতারণা বন্ধ হবে।
■ গুণ্ডামি ও পেশি শক্তির প্রদর্শনী দেখতে হবে না।
■ চাটুকারিতার উদ্দেশ্যে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুনে পরিবেশ দূষিত করা হবে না।
এনএ/