|| আদিয়াত হাসান ||
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নীতি-আদর্শ পরিপন্থি এবং কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দেয়ায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ডা. আক্কাস আলী সরকারকে উপদেষ্টা পরিষদসহ সংগঠনের সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সংগঠনের নীতিমালা ও শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের দায়ে তাকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, এজন্য ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর, চরমোনাই পীর মুফতি রেজাউল করীম কুড়িগ্রামের ডা. আক্কাস আলী সরকারকে অব্যাহতি দেন।
প্রসঙ্গত, ডা. আককাছ আলী ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই কুড়িগ্রাম-৩ উপনির্বাচনে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি লাঙ্গল প্রতীকে ৮২ হাজার ৫৯৮ ভোট পেয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী এম এ মতিনকে পরাজিত করেন। তিনি ৩ আগস্ট ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি সরকারী হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে প্রথমে দলীয় প্রধান এরশাদের নির্দেশে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান।
অধ্যাপক ডা.মোহাম্মদ আক্কাছ আলী সরকার রাজনৈতিক জীবনের শুরুলগ্নে তিনি জাতীয় পার্টির (এরশাদ) রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি কুড়িগ্রাম-৩ আসন থেকে নির্বাচিত ১০ম জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের অন্যতম প্রভাবশালী ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (হাতপাখা) এর অন্যতম কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা হিসেবে তার রাজনৈতিক সময় পার করছিলেন। তিনি রংপুরের প্রাইম মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক।
কেএল/