বিশ্ব ও বিশ্ব মানবতা অস্তিত্ব রক্ষায় পারস্পরিক সহযোগিতাই একমাত্র পথ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) জি-২০ সম্মেলনে বিশ্ব নেতাদের প্রতি এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরতসহ মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে ভারতের নয়াদিল্লিতে শুরু হওয়া জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টার কিছু পরে সম্মেলন কেন্দ্রে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তাকে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এ দিন সকালে নয়াদিল্লির ভারত মন্ডপম কনভেনশন সেন্টারে এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। একে একে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্বনেতারা সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হন। সবাইকে সাদর সম্ভাষণ জানান নরেন্দ্র মোদি।
সভার প্রথম অধিবেশন চলবে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হবে বিকেল ৩টায়। প্রথম ধাপে আলোচনার বিষয় হবে ‘ওয়ান আর্থ’। দ্বিতীয় পর্যায়ে আলোচনার বিষয় ‘ওয়ান ফ্যামিলি’। এর মাঝেই মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন অতিথিরা।
এবার ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’, এই মূল প্রতিপাদ্য নিয়ে শীর্ষ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জি-২০ এর ১৯টি দেশ আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। জি-২০ সদস্যরা বিশ্বব্যাপী জিডিপির প্রায় ৮৫ শতাংশ, বিশ্ববাণিজ্যের ৭৫ শতাংশের বেশি।
ভারতের জি-২০ সভাপতিত্ব ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল। দেশটির মেয়াদকালীন বাংলাদেশসহ সদস্য নয় এমন ৯টি দেশকে জি-২০ সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানায় ভারত। দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, মিসর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লি পৌঁছান। এরপরই গতকাল সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন। আজ শনিবার অনুষ্ঠান শুরুর প্রথম দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের সাইডলাইনে একাধিক রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এর মধ্যে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপ্রধান, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট রয়েছেন।
আগামীকাল রোববার জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় এবং শেষ দিনে প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশের নেতার সঙ্গে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে যোগ দেবেন। সম্মেলনের শেষ দিনে ‘জি২০ নয়াদিল্লি নেতাদের ঘোষণা’ গৃহীত হবে। কালই প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।