সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় বছরব্যাপী ওমরাহ পালনের জন্য লাখো মুসল্লি উপস্থিত হন। তবে রমজান মাসে অন্য সময়ের তুলনায় কয়েক গুণ বেড়ে যায় এই সংখ্যা। এতে অনেক মুসল্লি কাবা চত্বর বা মাতাফ অংশে তাওয়াফের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন, তাদেরকে অনেক সময় বর্ধিত অংশে তাওয়াফ করতে দেখা যায়।
লনের জন্য আগত মুসল্লিরা যেন নির্বিঘ্নে ও সহজে ওমরাহ করতে পারেন সেটি নিশ্চিত করতে পবিত্র কাবা চত্বরে সাধারণ মুসল্লিদের প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সৌদি আরব। দুই পবিত্র মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে।
নিষেধাজ্ঞায় সৌদির রাষ্ট্রীয় এ সংস্থাটি আহ্বান জানিয়েছে- যেসব সাধারণ মুসল্লি কাবায় নামাজ আদায় করতে চান তাদের নামাজের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে থেকে ইবাদত করার জন্য। মূলত কাবার দিকে মুখ করে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করে থাকেন। অনেকে নামাজ শেষে সেখানেই বসে ইবাদতে মশগুল থাকেন, এতে ওমরাহ পালনে আগতদের সরাসরি কাবা চত্বরে প্রবেশে বিঘ্ন ঘটে।
এ কারণে কাবা চত্বরের নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত থাকা কর্মীরা শুধুমাত্র ওমরাহ পালনকারীদের চত্বরে প্রবেশের সুযোগ দিবেন। ওমরাহ পালন করতে হলে মুসল্লিদের নুসুক অ্যাপসের মাধ্যমে অনুমতি নিতে হয়।
এদিকে আগামী জুনে অনুষ্ঠিতব্য হজে দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত একটি নিয়ম বাতিল করেছে সৌদি আরব। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দেশের নাগরিকদের জন্য মক্কার আশপাশে থাকার স্থান নির্ধারণ করা হবে না।
দেশটির হজ মন্ত্রী তৌফিক আল রাবিয়াহ’র বরাত দিয়ে গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, মক্কার আশপাশে ভবনে এখন থেকে থাকতে পারবেন না বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত হজযাত্রীরা।
এর বদলে হজযাত্রীরা আবাসিক ভবনে থাকতে পারবেন বলে জানিয়েছে সৌদি সরকার। এরইমধ্যে মক্কায় হজযাত্রীদের জন্য ১ হাজার ৮৬০ ভবনকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। অনুমোদিত ভবনে ১২ লাখ হজযাত্রী থাকতে পারবে।
এনএ/