মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট আজ দেশটির সেলাঙ্গরের জালান সুলতান আব্দুল সামাদ ৩৮, বন্দর সুলতান সুলেমানের একটি হাউজিং এলাকা থেকে সমন্বিত অভিযানে প্রায় ১৭০০ বিদেশী অভিবাসীকে তাদের কাগজপত্র স্ক্রিনিংয়ের জন্য আটক করেছে।
দেশটির শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা দি সান জানিয়েছে, দেশটির ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের পরিচালক খায়রুল আমিনুস কামরুদ্দিন বলেন, তিন মাস ধরে উক্ত আবাসিক এলাকায় ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মায়ানমার এবং ইন্দোনেশিয়ার এ নাগরিকদের আটক করতে অভিযান চালানো হয়েছে।
অপারেশনের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা স্থানীয় নাগরিকদের এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে উক্ত এলাকায় বিদেশী নাগরিকদের উপস্থিতির বিষয়ে অনেক অভিযোগ পেয়েছি। প্রাথমিক পরিদর্শনে দেখা গেছে যে, তাদের মধ্যে বেশ কিছুঅভিবাসীর এ দেশে থাকার বৈধ পারমিট বা পাস নেই। তাছাড়া তারা অতিরিক্ত সময় দেশে অবস্থান করছে এবং পারমিটের শর্ত ভঙ্গ সহ নানা অপরাধ করেছে।
তিনি আরো বলেন, সমন্বিত এ অভিযানে জাবাতান ইমিগ্রেশন মালয়েশিয়া (জিআইএম), সেন্ট্রাল ব্রিগেড জেনারেল অপারেশন ফোর্স (জিওএফ), সেলাঙ্গর ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট (জেপিএন), রয়্যাল ক্ল্যাং সিটি কাউন্সিল (এমবিডিকে) এবং কেমেন্টেরিয়ান ডালাম নেগেরি (কেপিডিএন) এর মোট ২৮৯ জন অংশ নেয়।
এছাড়া তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, যেসব বিদেশী নাগরিকদের বৈধতার জন্য ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া এখনও চলমান রয়েছে তাদেরও আটক করা হয়েছে। আর অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ ধারার পাশাপাশি অন্যান্য অপরাধের সাথে জড়িত আছে তাদের সংখ্যা আমরা এখন দিতে সক্ষম নই।
পত্রিকাটি আরো জানিয়েছে, বিকাল ৫টার দিকে অভিযানের সময় বেশিরভাগ বিদেশি নাগরিক উক্ত আবাসন এলাকায় ফুটবল খেলছিলেন। রাতের বাজারের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করছিলেন। আবার কেউ কেউ সাপ্তাহিক ছুটি কাটাচ্ছিলেন। এসময় ইমিগ্রেশনের উপস্থিতি টের পেয়ে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ গাড়ির নীচে লুকিয়ে পালানোর চেষ্টা করে এবং সেই সাথে গ্রেফতার এড়াতে তাদের বাচ্চাদের রুমে একা রেখে আসার অজুহাত দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি তাদের।
তবে বৃহৎ এ অভিযানে মোট কতজন বাংলাদেশি আটক হয়েছে তা জানায়নি দেশটির ইমিগ্রেশন।
কেএল/