বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ভয়াবহভাবে দুর্বৃত্তায়নের ঘটনা ঘটে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে জনগণের স্বার্থ ও হিতচিন্তার বিরুদ্ধে সক্রিয় করে তোলা হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ তাদের এই দুর্বৃত্তায়নের অন্যতম শিকার। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের ভয়ানক অনিয়মের দরুন প্রতিষ্ঠানটি তার ঐতিহ্য ও স্বকীয়তা হারিয়েছে।
আজ শনিবার (৫ অক্টোবর) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংস্কার ও দুর্নীতি নিরসনে লেখক-অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের উদ্যোগে লেখক অনুষ্ঠিত সম্মেলন এ কথা বলেন বক্তারা।
মাসিক মদিনার সম্পাদক আহমদ বদরুদ্দিন খানের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে এ সম্মেলনে দেশের প্রখ্যাত লেখক- অ্যাক্টিভিস্টরা উপস্থিত ছিলেন।
কামরুল হাসান নকিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট শামসুল আরেফিন শক্তি। কিনোট উপস্থাপন করেন কবি ও সম্পাদক নেসারউদ্দিন রুম্মান।
তারা বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনে বিগত সরকারের ফ্যাসিবাদী অনুচর ও অনিয়মকে নির্মূল করতে হবে এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। অনুষ্ঠানে প্রায় শতাধিক প্রতিষ্ঠিত লেখক ও এক্টিভিস্ট উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা ইসলামিক ফাউন্ডেশনে চলমান দুর্নীতি ও অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সংস্কার ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারের একটি অংশ। এই প্রতিষ্ঠানটির সাথে বাংলাদেশে মুসলমানদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অস্তিত্বপ্রশ্ন জড়িত। তাই এই সংস্কারভাবনাকে ছোটো করে দেখা মানে এই অঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান সম্প্রদায়কে ছোটো করে দেখা।
এসময় ইসলামি বইমেলায় দীর্ঘকাল যাবত চলমান নীতিহীনতা নিয়ে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন, মুহাদ্দিস ও লেখক মাওলানা যাইনুল আবিদীন, লেখক ও সিরাত গবেষক আমির ইবনে আহমদ, লেখক মাওলানা সাইমুম সাদী, লেখক ও আলোচক সালেহ আহমদ ত্বহা, লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট ডা. মেহেদী হাসান, কবি ও অধ্যাপক সাইফ সিরাজ, লেখক মাওলানা মনযূরুল হক, লেখক ও সম্পাদক জিয়াউল আশরাফ, লেখক ও অনুবাদক আব্দুস সাত্তার আইনী, লেখক লতিফুল ইসলাম শিবলী, লেখক ও সম্পাদক এহসানুল হক, ক্যারিয়ার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আফজাল হুসাইন, লেখক ও অনুবাদক তানজীল আরেফীন আদনান প্রমুখ।
হাআমা/