বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ।। ২২ মাঘ ১৪৩১ ।। ৬ শাবান ১৪৪৬


দাঁত ভালো রাখতে মিসওয়াকের গুরুত্ব ও অন্যান্য উপায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোহাম্মাদ হুজাইফা 

মানুষের জন্য দাঁতের সুস্থতা খুবই গুরুত্বর্ণ। কিছু বদঅভ্যাসের কারণে দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। একটু সচেতন হলে আমরা ক্ষতি থেকে বাঁচতে পারি। দাঁত সমস্যা হলে শুধু দাঁত পড়ে যায় বা ক্ষয়ে যায় এমন নয় বরং অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও হতে পারে যেমন: হৃদরোগ, আটকে থাকা ধমনী, স্ট্রোক, নিউমোনিয়া। তাই এই বিষয়টি মোটেও অবহেলার দৃষ্টিতে দেখা উচিত নয়। সঠিকভাবে দাঁতের যত্ন নিলে দাঁত সুস্থ ও মজবুত থাকবে বহুদিন। দাঁত ভালো রাখার দুইটি নিয়ম জেনে নেয়া যাক।

দাঁত সুস্থ রাখার জন্য পরিষ্কার রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য নিয়মিত মিসওয়াক করতে হবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, আমার উম্মতের জন্য জন্য যদি কঠিন মনে না করতাম, তাহলে প্রত্যেক নামাজের সময় মেসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম। বুখারি, হাদিস : ৮৪৩

আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেছেন, আমার কাছে যখনই জিবরাঈল (আ.) আসতেন আমাকে মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতেন। এতে আমার ভয় হতে লাগল যে, অধিক মেসওয়াক করার কারণে মাড়ি ছিঁড়ে ফেলব। মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২২১৭০, মেশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস : ৩৫৬

রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা মিসওয়াক করো। তা মুখের পবিত্রতার উপায় ও আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের মাধ্যম। সুনানে নাসায়ী, হাদীস: ৫, সুনানে ইবনে মাজাহ,হাদীস: ২৮৯

মিসওয়াকের অনেক উপকারিতা বিজ্ঞানের গবেষণার দ্বারা প্রমাণিত। মূলত মিসওয়াকের সুন্নত ছেড়ে দেওয়ার কারণেই মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। ডেন্টাল সার্জনদের উৎপত্তি হয়েছে। নিয়মিত মিসওয়াক ব্যবহারে দাঁত জীবাণুমুক্ত হয়, দাঁতের গোড়া মজবুত হয়, দাঁতের ক্যালসিয়াম পূরণ হয়, পাকস্থলী রোগ মুক্ত হয়, মস্তিষ্ক সজীব থাকে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং ইবাদাতে বিশেষ এক স্বাদ তৈরি হয়। সুন্নাতে রাসুল ও আধুনিক বিজ্ঞান, পৃষ্ঠা : ৩৫–৪০

বিশেষজ্ঞগণ দাঁত সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত ব্রাশ করার কথা বলেছেন। দৈনিক দুইবার ব্রাশ করতে হবে। তবে দুইমিনিটের বেশি ব্রাশ করা যাবে না। জোরে চাপ দিয়ে ব্রাশ করা যাবে না।
 
বিশেষজ্ঞগণ দাঁতকে সুস্থ রাখতে ও মজবুত রাখতে ফ্লসিং করার পরমর্শ দেন। ফ্লসিং হলো সরু সুতার সাহায্যে দুটি দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবার বের করে নেয়ার পদ্ধতি। প্রতিবার খাওয়ার পর মুখ ধুয়ে ফ্লস করা যেতে পারে । এই পদ্ধতিতে দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবারের টুকরা সহজেই বেরিয়ে আসে। তবে সবাই ফ্লসের পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত নন। সে ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা বা চিকিৎসকের কাছ থেকে শিখে নেয়াই ভালো।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ