বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ।। ৩১ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৬


সকালের নাশতা স্বাস্থের জন্য ভালো না ক্ষতি ?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ব্রেকফাস্ট বা সকালের নাশতা হচ্ছে দিনের প্রথম খাবার। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সকালের নাশতা ঠিকমত এবং স্বাস্থ্যকর খাবার দিয়ে করার ফলে শরীর থাকে সুস্থ ও শক্তিশালী। দিনও বেশ ভালো কাটে। যদিও সকালের খাবার শরীরের ওজন কমাতে খুব একটা সহায়ক নয় বলে জানানো হয়েছে বিভিন্ন গবেষণায়।

এর আগে একটি গবেষণায় বলা হয়, প্রতিদিন সকালের নাশতায় যারা ২৬০ ক্যালোরির বেশি গ্রহণ করে, তাদের ওজন যারা সকালে নাশতা করেন না, তাদের তুলনায় অন্তত এক পাউন্ড বেশি হয়ে থাকে। আবার বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালের প্রথম খাবার হতে পারে ক্যালসিয়াম ও আঁশজাতীয় খাবারের ভালো উৎস্য। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে ভালো নাশতা মনোযোগ ও একাগ্রতা বৃদ্ধিতে সহয়তা করা।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এর আগে জানানো হয়েছে, সকালের নাশতায় শক্তি সরবরাহ করে। সকালে যদি ভরপেট খাবার খাওয়া হয়, তাহলে দিনের পরবর্তী সময় খুব একটা ক্ষুদা লাগে না। এতে কিছুক্ষণ পরপর এটা-সেটা খাবার খাওয়ারও প্রয়োজন হবে না। আর শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহে সকালের নাশতা বেশ জরুরি।

এছাড়া পর্যবেক্ষণভিত্তিক গবেষণা অনুযায়ী, শরীরের সঠিক ওজন বজায় রাখতে সকালের নাশতা কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এর সঙ্গে ভালো ওজনের সর্ম্পৃক্ততা রয়েছে।

ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত এক অস্ট্রেলিয় গবেষণায় বলা হয়েছে, সকালে নাশতা করলেই যে শরীরের ওজন স্বাস্থ্যসম্মত পর্যায় রাখা সম্ভব হবে, তার কোনো প্রমাণ নেই। গবেষকরা সকালের নাশতা নিয়ে মোট ১৩টি গবেষণার পর্যালোচনা করেন। মনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদল তাদের পর্যবেক্ষণ থেকে জানিয়েছে, সকালে নাশতা বন্ধ করলে দৈনিক ক্যালোরির পরিমাণ কমানোর ভালো উপায় হতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত সকালে নাশতা করা ব্যক্তিদের সার্বিক ওজন বৃদ্ধি পায় এবং বিপরীতে যারা নাশতা করেন না, তাদের দুপুরে অনেক বেশি ক্ষুদাও পায় না। তবে বয়স্কদের ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সকালের নাশতার জন্য সুপারিশের সময় সতর্ক থাকতে হবে যে, এর কোনো বিপরীত প্রভাব থাকতে পারে কিনা।

আবার গবেষকরা এমনও জানিয়েছেন, তাদের পরীক্ষার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এছাড়া গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের অল্প সময়ের জন্য পর্যবেক্ষণেও রাখা হয়। যা ছিল মাত্র ২ থেকে ১৬ সপ্তাহের জন্য। একইসঙ্গে সকালে নাশতা করা বা না করা ব্যক্তিদের শক্তি সঞ্চয়ের পরিমাণ অল্প কিছু সময়ের জন্য তুলনা করা হয়। গবেষকদল মনে করেন, দীর্ঘমেয়াদি সকালের নাশতা করা এবং না করা ব্যক্তিদের নিয়ে আরও অধিকতর গবেষণা হওয়া উচিত।

সকালের নাশতা কোনটি স্বাস্থ্যকর: শক্তিসঞ্চয়ের জন্য অ্যাপেল পাই খাওয়া যেতে পারে। সঙ্গে দারুচিনি ও সেদ্ধ মটরশুটি ও সেঁকা রুটি। আমিষের ঘাটতি পূরণে সেঁকা রুটি বা টোস্টের সঙ্গে শাক-সবজি, ডিম ভুনা বা কম চর্বিযুক্ত গ্রিক দইয়ের সঙ্গে ফল ও বাদাম। আবার হালকা কিছুর মধ্যে কলা, ফল ও শাকপাতা দিয়ে ঘন শরবত কিংবা সেঁকা রুটি বা টোস্টের সঙ্গে ঘন করে অ্যাভোকাডো খেতে পারেন।

ক্যালসিয়াম ও ফাইবারের জন্য: লন্ডনের কিংস কলেজের পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ও পুষ্টিবিদ অধ্যাপক কেভিন ভেলান বলেন, গবেষণা এমনটা বলছে না যে, সকালের নাশতা শরীরের জন্য খারাপ। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সকালের নাশতা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে দুধের সঙ্গে ভালো উৎস্য হতে পারে ক্যালসিয়াম ও আঁশের। তবে বিএমজি’র গবেষকরা সেভাবে এই ব্যাপারে কাজ করেনি। তারা এমনটা বলছেন না যে, সকালের নাশতা করা ওজন বৃদ্ধির কারণ।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর