বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


মাথাব্যথা দূর করার ৫টি সেরা উপায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাথাব্যথা এমন এক সমস্যা যা প্রায় সকলের সঙ্গেই ঘটে  থাকে। তীব্র অস্বস্তি তো আছেই, সেই সাথে এই সমস্যার কারণে দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হতে পারে। মাইগ্রেনের মতো একতরফা মাথাব্যথা থেকে স্ট্রেসের কারণও হতে পারে।

এর চিকিৎসার জন্য মাথাব্যথার পেছনে অন্তর্নিহিত কারণ খুঁজে বের করা গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চ রক্তচাপ বা অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনও হতে পারে এই সমস্যার কারণ। মানসিক চাপ, সঠিক খাবার না খাওয়া, নিয়ম তান্ত্রিক না ঘুমানো, ডিহাইড্রেশন  (পানিশূন্যতা) ইত্যাদিও হতে পারে মাথাব্যথার কারণ।

মাথাব্যথা থেকে বাঁচতে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা জরুরী, যদি কেউ এ সমস্যায় ভুগেন তবে সুস্থ হওয়ার জন্য ঘরোয়া কিছু উপায় মেনে চলতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. আপনার মাথাব্যথা সম্ভবত ঘুমের অভাবে হতে পারে। রাতে ভালো ঘুম সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের অভাব মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে আপনাকে ক্লান্ত এবং অস্থির করে তুলতে পারে। যে কারণে কাজ করার শক্তি এবং মনোযোগ কমে যায়। মাথাব্যথা উপশমের জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

২. ক্যাফেইন ( কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের(CNS) ) কিছু ধরণের মাথাব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। এটি শক্তি বাড়ায় এবং মাথাব্যথা বা মাইগ্রেন থেকে দ্রুত পরিত্রাণ দেয়। ক্যাফেইন মেজাজ উন্নত করে এ ধরনের পানীয় বা খাবার খাওয়ার পরে মাথাব্যথা থেকে অনেকটাই সস্তি পাওয়া যায়।

৩. হাইড্রেটেড থাকুন অর্থাৎ সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত জল পান করা। অপর্যাপ্ত পানি পান করা মাথাব্যথার একটি সাধারণ কারণ। পর্যাপ্ত হাইড্রেশন স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য এবং ক্রমাগত মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ৮ গ্লাস পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত পানি পান না করলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। যার মধ্যে হজমে সমস্যা, মাথাব্যথা, পেশীর ক্র্যাম্প, শুষ্ক ত্বক এবং মাথা ঘোরা ইত্যাদি রয়েছে।

৪. পুষ্টিকর খাবার খান ,কোনো বেলার খাবার বাদ দেবেন না। তিনবেলা পর্যাপ্ত খাবার খান। নিয়মিত এবং সুষম খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক খাবার মাথাব্যথা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে, হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে, মানসিক চাপ কমায় এবং শক্তিশালী ও সুস্থ রাখে।

৫. স্ক্রিন টাইম সীমিত করুন কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের স্ক্রিনে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা মাথাব্যথার একটি প্রধান কারণ। ক্রমাগত ফোনে স্ক্রোল করলে তা আপনার চোখে চাপ ফেলতে পারে এবং মাথাব্যথা হতে পারে। স্ক্রিন টাইম সীমিত করলে তা মাথাব্যথা প্রতিরোধ করতে পারে। যতটা সম্ভব এ থেকে দূরে থাকুন। এটি আপনাকে বাড়তি চাপ থেকে মুক্তি দেবে।

এমএন/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ