হঠাৎ করেই ভয়াবহ দুর্যোগের কবলে বাংলাদেশ। ভারতের বাঁধ খুলে দেয়ায় উজানের পানি ও ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাঁদপুরসহ ১৩ জেলা। আশপাশের অঞ্চল। বন্যায় সহায়-সম্পত্তি হারিয়ে অসহায় হাজার হাজার পরিবার। অন্তত ৫০ লাখ মানুষ পানিবন্দিসহ ক্ষত্রিগ্রস্থ অসংখ্য অগণিত। সীমাহীন দুর্ভোগে আছে বন্যাকবলিত মানুষেরা।
বন্যার সময় সুস্থ ও নিরাপদে থাকতে যা করবেন
- এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঠান্ডা মাথায় প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিন। বন্যার পানিতে বাড়িঘর ডুবে গেলে নিকটস্থ উঁচু স্থানে কিংবা সরকারি-বেসরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যান। যদি পাশের গ্রামে বন্যার পানি এখনো না পৌঁছায়, তাহলে সেখানে আশ্রয় নিন।
বিপদের সময় সম্পদ ও জিনিসপত্রের মায়া না করে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জীবন বাঁচান। গর্ভবতী নারী ও শিশুদের সর্বচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিন। সময় ও সুযোগ পেলে গবাদি পশুদের নিরাপদ স্থানে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
যেখানে আশ্রয় নেবেন সেখানের কোনো ঘরের পাটাতনে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থা করতে পারেন।
- সঙ্গে শুকনো খাবার যেমন চিড়া-মুড়ি-গুড় ইত্যাদি রাখুন। সম্ভব হলে সঙ্গে স্যালাইন রাখুন।
- যাতায়াতের জন্য নৌকা হাতের কাছে না পেলে কলার ভেলা ব্যবহার করুন।
- বন্যার পানিতে বিভিন্ন রোগব্যধি হতে পারে। পেটের অসুখ ও অন্যান্য অসুখ থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় ওষুধ, ইনজেকশন কিংবা টিকা নিন।
- আপনার আশ্রইয়স্থলের কাছাকাছি কোন স্থানে মেডিকেল টিম ও স্বাস্থ্যকর্মী আছে, তা জেনে নিন। তাদের সাহায্য নিন।
- বন্যার সময় সাপের উপদ্রব বাড়ে। তাই ঘরে কার্বলিক অ্যাসিড রেখে দিন। এতে সাপ ঘরের ভেতর প্রবেশ করবে না।
- সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার ত্রাণ গ্রহণ করুন। তাদের ত্রাণে অভাব মেটানোর চেষ্টা করুন।
- এমন দুর্যোগে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই। সম্পদ রক্ষার্থে এবং বন্যাকবলিত এলাকার নিরাপত্তা রক্ষার্থে দ্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করুন।
- বন্যার সময় কলেরাসহ বিভিন্ন রোগ থেকেন বাঁচতে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন। খাবার খাওয়ার আগে ও পরে, টয়লেট ব্যবহারের পরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
- অকারণে বন্যার পানিতে হাঁটবেন না। হাঁটলেও বুট জুতা কিংবা পানিরোধক জুতা পরে নিন।
- বন্যার সময় পানির নিচে বৈদ্যুতিক টাওয়ার, খুঁটি ও ট্রান্সফরমার লাইনের তার ডুবে যায়। এসব বৈদ্যুতিক লাইনের নিচ দিয়ে নৌকা বা ভেলা চালালে সতর্ক থাকুন।
এনএ/