শীত আসলেই ত্বক ভীষণ শুষ্ক হয়ে পড়ে। অনেকে এই আর্দ্রতা বজায় রাখতে বাজার থেকে কেনা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। তাতে আর কী লাভ? বাজারজাত পণ্যে ক্যামিকেলের অভাব নেই। ব্যবহার করলে অনেক সময় ত্বকের ক্ষতিই হয় বেশি। তবে ঘরোয়া উপাদানে ত্বক ফেটে যাওয়ার যে বাড়তি হ্যাপো তা কিন্তু ঠিকই দূর হয়।
ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে নারকেল তেল ও অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। সামান্য নারকেল তেল ও অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিয়ে মুখে মাখুন। প্রয়োজন হলে সারা গা-হাত, পায়েও মাখতে পারেন। এটি একটি প্রাকৃতিক মশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে এবং এর প্রভাব দীর্ঘক্ষণ থাকে।
দুধের সর
দুধের সরে থাকা উপাদান ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে ও ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। তাই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুধের সর ব্যবহার করতে পারেন।
অলিভ অয়েল
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অলিভ অয়েল মেখে শুতে পারেন। এতে থাকা উপাদান ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে ও ত্বকের কোনও ক্ষতি হতে দেয় না।
গ্লিসারিন
গ্লিসারিন অত্যন্ত ভালো মশ্চারাইজার। এই উপাদান ত্বকের কোনও ক্ষতি করে না। তাই শরীরের যে সমস্ত জায়গা বেশি মাত্রায় শুষ্ক হয়ে পরে সেই সব জায়গায় গ্লিসারিন মেখে রাখুন।
মধু
কুসুম গরম পানিতে গোসল করুন। গোসলের ঠিক আগে ভালোভাবে মুখে মধু মাখুন। মধু ভীষণ ভালো মশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে। অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখে মেখে রাখার পরে গোসল করতে হবে। এতে ত্বক ফাটবে না।
এনএ/