শীত মৌসুম আরামের হলেও ত্বকের জন্য তা মোটেও সুখকর নয়। শুষ্ক আবহাওয়ার বেড়াজালে ত্বকের অবস্থা নাজেহাল। আর এ কারণেই বিশেষজ্ঞরা শীতকালে ত্বককে ময়েশ্চারাইজ রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। উদ্দেশ্য, শীতের শুষ্কতা যেন ত্বকে না পড়ে।
মোদ্দা কথা, সারা বছর ত্বক সতেজ থাকুক- এমন প্রত্যাশা সবার। প্রত্যাশা, ঔজ্জ্বল্য না হারাক। কোনো অনুষ্ঠান হোক বা বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা হোক, সব কিছুতেই আগে মাথায় আসে ত্বকের কথা। তখন ত্বক হওয়া চাই সজীব, উজ্জ্বল।
ত্বকের যত্নে রাসায়নিক ময়েশ্চারাইজারের বদলে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার যেমন- বাটার, জলপাইয়ের তেল, নারিকেল তেল এবং মধু ব্যবহার করা ভালো। আরও যত প্রাকৃতিক সমাধান ত্বকের শুষ্কতা রোধে দারুণভাবে কার্যকরী সে সবই জানব আজ-
শুষ্কতা বাড়ায় এমন প্রসাধনী যেমন- ম্যাট, পাউডার ব্লাশ ইত্যাদি ব্যবহার না করা।
মেকআপে কালার লিপবাম এবং আর্দ্রতা রক্ষাকারী ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা ভালো। এ ছাড়াও ক্রিম ব্লাশ এবং আর্দ্রতা রক্ষাকারী মিস্ট ব্যবহার ত্বককে কোমল ও মসৃণ করতে সাহায্য করে।
ঘরে তৈরি টোনার ও স্ক্রাব যেমন- কয়েক ফোঁটা লেবু, গুঁড়াদুধ এবং গ্লিসারিনের মাস্ক ত্বকের জন্য উপকারী। সপ্তাহে দু-একবার ব্যবহারেও ত্বক হবে উজ্জ্বল।
অ্যালোভেরা জেল শুষ্ক ত্বককে গভীর থেকে আর্দ্র রাখে ও বাইরের অবস্থা থেকে সুরক্ষিত রাখে।
এসব প্রসাধনীর পাশাপাশি ‘সাপ্লিমেন্ট’ও খেতে পারেন। মুখের সাপ্লিমেন্ট হিসেবে অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিড যেমন- তিসির বীজের ক্যাপসুল, প্রিমরোজ অয়েল ক্যাপসুল, কডলিভার তেলের ক্যাপসুল এবং ওমেগা ৩, ৬, ৯ ইত্যাদি খাওয়া ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করতে সহায়তা করে। তথ্যসূত্র : বি বিউটিফুল।
এনএ/