|| তাওহীদ আদনান ইয়াকুব ||
১. কুরআনের পথনির্দেশ ও তিন শ্রেণির মানুষ (১-২০)
আল্লাহ তাআলা কুরআনকে মুত্তাকীদের জন্য হিদায়াত হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এখানে মানুষকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে:
• মুমিন – যারা কুরআন অনুসারে চলে।
• কাফের – যারা স্পষ্টভাবে আল্লাহর নির্দেশ অস্বীকার করে।
• মুনাফিক – যারা বাহ্যিকভাবে মুসলিম, কিন্তু অন্তরে কুফর লুকিয়ে রাখে।
২. আদম (আ.) ও ইবলিসের কাহিনি (২১-৩৯)
আল্লাহ আদম (আ.) কে সৃষ্টি করে ফেরেশতাদের তাঁকে সিজদা করতে বলেন। ইবলিস অহংকারবশত আদম (আ.)-কে সিজদা করতে অস্বীকার করে এবং সে ধিকৃত হয়। এরপর আদম (আ.) ও হাওয়াকে জান্নাত থেকে পৃথিবীতে পাঠানো হয় এবং আল্লাহ তাদের জন্য হিদায়াতের ব্যবস্থা করেন।
৩. বনি ইসরাইলের ইতিহাস ও তাদের অবাধ্যতা (৪০-১২৩)
• আল্লাহ তাদের বহু নেয়ামত দিয়েছেন, কিন্তু তারা বারবার অবাধ্যতা করেছে।
• তারা নবীদের হত্যা করেছে, আল্লাহর বিধান পরিবর্তন করেছে এবং মুসা (আ.)-এর উপদেশ অমান্য করেছে।
• গরু কোরবানির কাহিনি বর্ণিত হয়েছে, যেখানে তারা অহেতুক প্রশ্ন করে সময়ক্ষেপণ করেছিল।
৪. কিবলা পরিবর্তন ও মুসলিম উম্মাহর বৈশিষ্ট্য (১২৪-১৫০)
• ইবরাহিম (আ.) কে পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে, যেখানে তিনি আল্লাহর আদেশ মেনে চলেন।
• কাবাকে নতুন কিবলা নির্ধারণ করা হয়, যাতে মুমিনদের পরীক্ষা নেওয়া যায়।
৫. রোজা, দোয়া ও ইবাদতের বিধান (১৫১-১৮৭)
• রমজান মাসে রোজার বিধান দেওয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে, এটি তাকওয়া অর্জনের একটি মাধ্যম।
• আল্লাহর কাছে দোয়া কবুলের আলোচনা এসেছে।
• রাতে স্ত্রী সহবাস, ইফতার-সেহরির নিয়ম এবং ইতেকাফের বিধান বর্ণিত হয়েছে।
৬. হজ্ব, সমাজ ও অর্থনীতির বিধান (১৮৮-২০৩)
• হারাম-হালালের বিধান এসেছে।
• হজের নিয়ম ও তা সম্পাদনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
• আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে এবং তাকওয়ার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
মূল বার্তা:
• কুরআন হিদায়াতের আলো এবং শুধু মুত্তাকীদের জন্য উপকারী।
• ঈমানদারদের সবসময় আল্লাহর নির্দেশ মানতে হবে।
• বনি ইসরাইলের মতো আল্লাহর আদেশ নিয়ে তামাশা করা উচিত নয়।
• রোজা ও হজ ইবাদতের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
• আল্লাহর দিকে ফিরে আসাই মানুষের সফলতার পথ।
এমএইচ/