শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ।। ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ২৯ শাবান ১৪৪৬


রমজান কেন শ্রেষ্ঠ মাস ?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল হালীম

রমজান মাসকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর মাস বলেছেন। যে বান্দা রমজান মাসকে নিজের মাস মনে করে সময়কে কাজে লাগাবে আল্লাহ তাআলা তাঁকে কয়েকভাবে পুরস্কৃত করবেন-

১. শয়তানকে বন্দী করে রাখবেন। অর্থাৎ বনী আদমের দুই শত্রু- শয়তান শত্রু, নফস শত্রু। এর মধ্যে বড় শত্রু হলো শয়তান, আল্লাহ তায়ালা তাকে আবদ্ধ করে রাখবেন। ফলে বনি আদমের জন্য এক শত্রুর সাথে মোকাবেলা করা সহজ হয়ে যাবে। এতে নেক আমল করে সে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়ার বিষয়টি সহজ হয়ে যাবে।

২. নেক কাজের সাওয়াব বৃদ্ধি করে দিবেন। অর্থাৎ এই মাসে বান্দা তার প্রতিটি নেক আমলের বহুগুণ সাওয়াব পাবে।

. রোজার মাধ্যমে গুনাহ মাফ করবেন। অর্থাৎ ঈমানের সাথে সাওয়াবের আশায় এ মাসে যে ব্যক্তি রোজা রাখবে আল্লাহ তার পিছনের গুনাহগুলো মাফ করে দিবেন।

. তারাবীর মাধ্যমে গুনাহ মাফ করবেন। অর্থাৎ ঈমানের সাথে সাওয়াবের আশায় এ মাসে যে ব্যক্তি তারাবীহর নামায আদায় করবে, আল্লাহ তার পিছনের গুনাহগুলো মাফ করে দিবেন।

. নফল আমলে ফরজের সাওয়াব, ফরজ আমলের সাওয়াব ৭০ গুণ দিবেন। অর্থাৎ যে বান্দা এ মাসে একটি নফল ইবাদত করবে সে অন্য মাসের একটি ফরজ ইবাদত করা সমপরিমাণ সওয়াব পাবে। আর যে এই মাসে একটি ফরজ ইবাদত আদায় করবে অন্য মাসে সে ৭০ টি ফরজ ইবাদত পালন করার সমপরিমাণ সওয়াব পাবে।

. এ মাসের একটি রাত হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।

. তাকওয়ার গুণ অর্জনকে সহজ করে দেন।

ভালো-মন্দ উভয় কাজের প্রবণতা মানুষের ফিতরী বিষয়। ভালো কাজ করে মানুষ ফেরেশতার চেয়েও শ্রেষ্ঠ হতে পারে আবার মন্দ কাজ করে মানুষ পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট হয়ে যেতে পারে।

ভালো মন্দের এই দন্দের মাঝে যে গুণের মাধ্যমে মানুষ ভালোকে প্রাধান্য দিবে সে গুণটি হল তাকওয়া , যা রোজার মাধ্যমে অর্জিত হয়। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বুঝার তাওফীক দান করেন।

শিক্ষক,জামিয়া দারুল উলূম নূরিয়া মধ্যবাড্ডা ঢাকা।

এনআরএন/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ