শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ।। ৮ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ২২ শাবান ১৪৪৬

শিরোনাম :
ইফা প্রকাশিত সাহরী-ইফতারের সময় নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই : মাওলানা আবদুল মালেক আল্লাহ ও নবীকে (সা.) নিয়ে কটুক্তিকারী রাখাল রাহা সর্বোচ্চ শাস্তি চায় বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদ শ্রীমঙ্গলে রিসোর্টের আড়ালে অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত মাতৃভাষা : হৃদয়ের গভীরতম এক স্পন্দন রমজানে ভোগ্যপণ্যের মজুত করলে কঠোর হবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা ইসলামে মাতৃভাষার গুরুত্ব অপরিসীম চরমোনাই মাহফিলে বৃহত্তর ঐক্যের ডাক মজলিস আমিরের স্বেচ্ছায় গ্রেফতার হতে আদালত প্রাঙ্গণে যাবেন জামায়াত আমির শুরায়ি নেজামের কাছে বিশ্ব ইজতেমার মাঠ হস্তান্তর

রাস্তায় পড়ে থাকা বস্তুর শরয়ী হকুম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| মুহিউদ্দীন মাআয ||

চলার পথে অনেক সময় বিভিন্ন জিনিস পড়ে থাকতে দেখা যায়। কখনো এমন হয়, সেটা হেফাজত না করলে নষ্ট হয়ে যাবে, বা এমন কেউ নিয়ে যাবে, যে মালিকের কাছে পৌঁছে দিবে না। এমতাবস্থায় পতিত বস্তুটি কুড়িয়ে আসল মালিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া আমাদের ধর্মীয় ও মানবিক দায়িত্ব। 

অনেক সময় পথে প্রাপ্ত বস্তুর প্রকৃত মালিককে খুঁজে পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান হলো—প্রাপ্ত বস্তুটি মূল মালিকের কাছে পৌঁছানোর যথাসম্ভব চেষ্টা করা। যেমন:- প্রাপ্তস্থানের আশপাশের দোকান-বাসাবাড়িতে খোঁজ নেওয়া, পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া।

খোঁজার পর যদি কোনভাবেই মালিককে না পাওয়া যায় এবং এই ধারণা হয় যে, মালিককে হয়ত পাওয়া যাবে না, তাহলে প্রাপ্ত বস্তু তার মালিকের নামে দান করে দিবে। বস্তুর আসল মালিক দানের সওয়াব পাবে। 

তবে রাস্তায় পড়ে থাকা জিনিস যে কুড়িয়ে নিল যদি সে নিজেই গরীব হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে নিজে ব্যবহার করতে পারবে। আর ধনী হলে, তার জন্য ব্যবহার করা জায়েজ হবে না।

এরপর যদি কোনোদিন প্রাপ্ত বস্তুর মালিকের সন্ধান পাওয়া যায়, তাহলে মালিকের কাছে সেটি ফেরত দিতে হবে। তবে দান করে দিয়ে থাকলে মালিক সওয়াব পেয়ে যাবে। আর যদি বস্তুটির মালিক দানের কথা জানার পরও তার জিনিস ফেরত চায় তাহলে জরিমানা দিতে হবে। (রদ্দুল মুহতার, ৬/৪৩৭)

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ