|| মুহিউদ্দীন মাআয ||
চাকরীর সুবাদে কিংবা প্রয়োজনের তাগিদে অনেকে বাসা ভাড়া নেন ঢাকায়। স্ত্রী ও সন্তানসহ পরিবারের মাঝে সুখের দিন কাটে তাদের। বাবা-মায়ের আদরে বেড়ে ওঠে সন্তানেরা। ছেলে-মেয়ের সুন্দর ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় ব্যয় করে অক্লান্ত পরিশ্রম। বাবার ছায়ায় পরম সুখে অতিবাহিত হয় তাদের দিনগুলো।
কিন্তু আল্লাহ তায়ালার অবধারিত বিধান মৃত্যুর ডাক আসে অনেকের। সাজানো সংসারে নেমে আসে সাময়িক অন্ধকার। স্বাভাবিক জীবনযাপনে বিঘ্নতা দেখা দেয়।
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী— ’স্বামী’ মারা গেলে ’স্ত্রী’ স্বামীর ঘরে স্বাভাবিকভাবে ৪ মাস ১০দিন ইদ্দত পালন করবে। আর স্ত্রী গর্ভবতী হলে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগপর্যন্ত ইদ্দত পালন করবে। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আর গর্ভবতী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তান প্রসব করার আগপর্যন্ত। (সুরা তালাক, আয়াত : ৪)
অন্যত্র আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মৃত্যুবরণ করে, তাদের স্ত্রীরা চার মাস দশদিন প্রতীক্ষায় থাকবে। (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৩৪)
কিন্তু ভাড়া বাসায় ইদ্দত পালন করতে গিয়ে অনেক সময় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। অনেক মহিলা বাসা ভাড়া দিতে অক্ষম হয়, কারো নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজের জন্য মাহরাম পুরুষ থাকে না, অথবা অন্য কোনো শরয়ী সমস্যা থাকা। এসব পরিস্থিতির সম্মুখিন হলে বিধবা স্ত্রী নিকটবর্তী আত্মীয়ের বাসায় অথবা গ্রামের বাড়িতেও ইদ্দত পালন করতে পারবে ।
বিধবা মহিলা হোক অথবা তালাকপ্রাপ্তা যে ঘরে তার ইদ্দত পালন করা ওয়াজিব হবে সে ঘরে ইদ্দত পালন করবে। অন্য কোথাও যাবে না। তবে যদি তাকে বের করে দেওয়া হয় অথবা ঘর ধ্বসে পড়ে বা ধ্বসে পড়ার আশংকা থাকে কিংবা তার অর্থ-সম্পদ নষ্ট হয়ে যায় অথবা বাসা ভাড়া দিতে সমস্যা হয়। এবং এজাতীয় সমস্যা দেখা দিলে সে মহিলা নিকটবর্তী কোনো আত্মীয়ের বাসায় (ইদ্দত পালন করতে) যেতে পারবে। (দুররুল মুখতার, খণ্ড : ৫; পৃষ্ঠা : ২২৫)
এমএইচ/