মাহফুজ বিন হামিদ
ইসলাম বিবাহকে সহজ করে দিয়ে বাস্তবানুগের সাথে প্রয়োগের কথা বলেছে। গণ্য করেছে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে। কারণ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে, স্থিতিশীল নিরাপদ পরিবেশে যেন মানুষ আল্লাহর দাসত্ব করতে পারে। ( আল বাহরুর রায়েক)
শুধু প্রবৃত্তির লালসা পূরণে ইসলাম বিবাহের অনুমতি দেয় না।
হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলছেন, হে যুবক সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যে বিবাহের সামর্থ্য রাখে সে যেন বিবাহ করে। কেননা, তা চক্ষুকে আনত রাখে এবং লজ্জাস্থানকে রক্ষা করে; আর যে সামর্থ্য রাখে না সে যেন রোযা রাখে, রোযা হল তাহার জন্য খোজা হওয়া। ( বুখারী)
বিবাহের উদ্দেশ্যে যেহেতু মানবজাতির সুষ্ঠুধারা টিকিয়ে রাখা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত ব্যয় করা তাই একে জটিল কঠিন কোন শর্তে আবদ্ধ রাখা হয়নি। বরং বালেগ বুদ্ধিসম্পন্ন দুজন নর-নারীর সম্মতিকে দেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্তের অধিকার। বয়সকে ধরা হয়েছে গৌণ হিসেবে।
ইসলাম বিবাহের ক্ষেত্রে কোন বয়সসীমা নির্ধারণ করেনি। সামাজিক পারিপার্শ্বিক অবস্থা এবং স্বাস্থ্য ও গঠনাকৃতির উপর ওপর ছেড়ে দিয়েছে।
ইমাম মুহাম্মাদ রহ. বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু সালাম হযরত আয়েশাকে ৯ বছর বয়সে ঘরে তুলে নিয়েছিলেন। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় স্ত্রীর বয়স যখন ৯ বছর হবে তাকে নিয়ে ঘর সংসার করা যাবে। যদিও সে বালিকা না হোক। অনেক মনীষী এ মত গ্রহণ করেছেন।
তবে অধিকাংশ মনীষীগণের মতে বিবাহের ক্ষেত্রে বয়স বিবেচ্য নয়। শারীরিক সক্ষমতা, দৈহিক গঠনই বিবেচ্য। যদি কোন নারী সুস্থ সুগঠনা এবং পুরুষের সংশ্রবে যেতে সক্ষম হয়, তার স্বাস্থ্যগত কোন ঝুঁকি না থাকে; তাহলে সে স্বামী গ্রহণ করতে পারে। যদিও তার বয়স নয় বছর না হোক। (বাদায়েউস সানায়ে)
হাআমা/