শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। ১৭ মাঘ ১৪৩১ ।। ১ শাবান ১৪৪৬


স্বামীকে ‘ভাই বা স্ত্রীকে ‘বোন’ বলা যাবে কি?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

||মোহাম্মাদ হুজাইফা||

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত একটি বৈধ পবিত্র সম্পর্ক। এই সম্পর্ক ভালোবাসা-স্নেহের হওয়া উচিত। তবে স্বামী বা  স্ত্রীকে এমন নামে ডাকা উচিত নয় যে নামে ডাকলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। স্বাভাবিক মর্যাদায় আঘাত লাগতে পারে। তাই স্ত্রীকে বোন বলে ডাকা বা স্বামীকে ভাই বলে সম্বোধন করা মাকরুহ। হাদিসে এভাবে সম্বোধন করতে নবিজি (সা.) নিষেধ করেছেন। আবু তমিমা আল জুহামী (রা.) বর্ণনা করেছেন,
أن رجلًا قال لامرأتِه: يا أُخَيَّةُ، فقال رسولُ اللهِ صلّى اللهُ عليه وسلَّم: أَختُك هي؟ فكَرِه ذلك ونهى عنه

এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে ‘হে আমার বোন’ বলে সম্বোধন করে। আল্লাহর রাসুল সা. তাকে বললেন, সে কি তোমার বোন? তিনি তার এ রকম সম্বোধনকে অপছন্দ করলেন। তাকে এমন সম্বোধন করতে নিষেধ করলেন। (সুনানে আবু দাউদ: ২২১০)

স্বামী স্ত্রীকে বোন বলে সম্বোধন করা থেকে বিরত থাকতে হবে, স্ত্রীও স্বামীকে ভাই বলে সম্বোধন করবে না। তবে কেউ বলে ফেললে বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষতি হবে না। (ফাতহুল কাদির ৪/৯১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৫০৭; রদ্দুল মুহতার ৩/৪৭০)

স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে এমন শব্দ বা নামে ডাকা সমীচীন, যা থেকে স্বাভাবিক সম্মান ও ভালোবাসা প্রকাশ পায়, অসম্মান প্রকাশ না পায়। তারা পরস্পরকে সন্তানদের নামের সাথে সম্পৃক্ত করে ডাকতে পারে। নাম ধরেও ডাকতে পারে যদি তা তাদের সংস্কৃতিতে অপমানসূচক না হয় এবং কেউ অপমান বোধ না করে।

আরবের সংস্কৃতিতে স্ত্রীকে ও স্বামীকে নাম ধরে বা সন্তানের নামের সাথে সম্পৃক্ত করে ডাকার প্রচলন আছে। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, যখন আল্লাহর রাসুল ইবরাহিম (আ.) তার স্ত্রী হাজেরা এবং শিশু পুত্র ইসমাইলকে মক্কার জনমানবহীন প্রান্তরে রেখে চলে যাচ্ছিলেন, তখন পেছন থেকে তার স্ত্রী তাকে ডেকে বললেন, হে ইবরাহিম, আপনি আমাদের এমন জনমানবহীন উপত্যকায় রেখে কোথায় যাচ্ছেন? (সহিহ বুখারি: ৩৩৬৫)

তবে কোনো অঞ্চলের সামাজিক সংস্কৃতিতে স্বামীর নাম ধরে ডাকা অসম্মানসূচক হলে এবং স্বামী পছন্দ না করলে নাম ধরে ডাকা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং কোনো সম্মানজনক শব্দে তাকে ডাকতে হবে।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ