আবিদ আনাম
ফজরের দুই রাকাত সুন্নত খুবই দামি আমল। কখনই অবহেলা করা উৃচিত না। হাদিস শরিফে আছে আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ফজরের দুই রাকাত সুন্নত দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম। (মুসলিম, হাদিস : ৭২৫)
এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা এই দুই রাকাত নামাজ কখনো ত্যাগ কোরো না, এমনকি শত্রুবাহিনী তোমাদের তাড়া করলেও।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১২৫৮)
তবে কখনো যদি ফজরের জামাত দাঁড়িয়ে যায় আর দ্বিতীয় রাকাত পাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে, তাহলে সুন্নত মসজিদের বাইরে পড়ে নেওয়া উত্তম। তবে কেউ যদি মসজিদের ভেতরে নামাজের কাতার থেকে দূরে এক কোণে বা খুঁটির আড়ালে পড়ে সেটাও জায়েজ। কিন্তু জামাতের কাতারে বা তার কাছে পড়া মাকরুহে তাহরিমি।
সাহাবি আবু মুসা আশআরি রা. বলেন- কুফার গভর্নর সায়িদ ইবনে আস তাঁকে এবং হুজায়ফা ও আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) এই তিনজনকে বিশেষ একটি কাজে ফজরের নামাজের আগে ডাকলেন। তাঁরা কাজ শেষে তাঁর কাছ থেকে বিদায় নিলেন। এরই মধ্যে মসজিদে ফজরের নামাজের ইকামত শুরু হয়ে গেছে।
ইবনে মাসউদ (রা.) মসজিদের একটি খুঁটির আড়ালে ফজরের দুই রাকাত সুন্নত পড়লেন। তারপর জামাতে শরিক হলেন। (শরহু মাআনিল আসার : ১/৬১৯)
একই ধরনের আমল ছিল বিখ্যাত সাহাবি ইবনে উমর (রা.)-এর। একবার তিনি মসজিদে এসে দেখেন, ফজরের জামাত চলছে। কিন্তু তাঁর ফজরের দুই রাকাত সুন্নত পড়া হয়নি। তিনি হাফসা (রা.)-এর কামরায় তা পড়লেন। তারপর জামাতে শরিক হলেন। (প্রাগুক্ত ১/৬২০-৬২১)
আল্লাহ তায়ালা আমাদের বরকতময় ফজরে অংশ নেওয়ার তাওফিক দিন। নিয়মিত ফজরের সুন্নত আদায়রে তাওফিক দিন। আমিন