সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

ফজরের জামাত চলা অবস্থায় সুন্নত পড়া যাবে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

যেকোনো ফরজ নামাজ চলা অবস্থায় সাধারণত জামাতে শরিক হওয়াই নিয়ম। আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেছেন-

إِذَا أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَلاَ صَلاَةَ إِلاَّ الْمَكْتُوبَةُ

‘সালাতের ইকামত দেওয়া হলে ফরজ সালাত ছাড়া অন্যকোনো সালাতের নিয়ত করা যাবে না। (সহিহ মুসলিম: ১৫২৯; সুনানে তিরমিজি: ৪২১)

তবে, ফজরের নামাজের ক্ষেত্রে নিয়মটি ব্যতিক্রম। ফজরের জামাতের ইকামত শুরু হলেও সুন্নত নামাজের নিয়ত করা যাবে। সুন্নতশেষে জামাতে শরিক হওয়া যাবে। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেছেন-

لا تدعوا ركعتي الفجر وإن طردتكم الخيل

‘তোমরা ফজরের সুন্নত ছেড়ে দিও না, যদিও সৈন্যবাহিনী তোমাদের তাড়া দেয়।’ (মুসনাদে আহমদ: ৯২৫৩)

বিখ্যাত সাহাবিরা ফজরের সুন্নত ছেড়ে দিতেন না। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস ও আবু দারদা রা.-এর মতো বিশিষ্ট সাহাবিরা ফজরের জামাত শুরু হলেও ফজরের সুন্নত পড়ে নিতেন। যেমন আবু দারদা রা.-এর বিষয়ে বলা হয়েছে, ফজরের সময় মসজিদে প্রবেশ করে লোকজনকে ফজরের জামাতে কাতারবদ্ধ পেলে মসজিদের এক কোণে (ফজরের) সুন্নত পড়তেন। অতপর মানুষের সাথে জামাতে শরিক হতেন। (শরহু মাআনিল আছার, তহাবি: ১/২৫৬)

সুতরাং ফজরের জামাত শুরু হয়ে গেলেও সুন্নত পড়ে যদি জামাতের সাথে দ্বিতীয় রাকাতও পাওয়া যায় তাহলে সুন্নত পড়ে নেবেন। আর দ্বিতীয় রাকাত পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে সুন্নত পড়বেন না; বরং জামাতে শরিক হয়ে যাবেন এবং সূর্যোদয়ের পর তা পড়ে নেবেন। কোনো কোনো ফকিহ ইমামকে তাশাহুদে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও আগে সুন্নত পড়ে নেওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু অধিকাংশ ফকিহর অভিমত হলো- দ্বিতীয় রাকাত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে সুন্নত পড়বেন।

আবু মিজলায রহ. বলেন আমি ফজর নামাজে আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. ও আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা.-এর সঙ্গে মসজিদে এমন সময় প্রবেশ করলাম যে ইমাম নামাজ পড়াচ্ছিলেন, তখন ইবনে আব্বাস রা. দু’রাকাত সুন্নত পড়ে ইমামের সঙ্গে শরিক হলেন। আর ইবনে ওমর রা. ইমামের সঙ্গে নামাজে শরিক হয়ে গেলেন। ইমাম সালাম ফেরানোর পর তিনি সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে থাকলেন অতপর উঠে দুরাকাত নামাজ আদায় করলেন। (শরহু মাআনিল আসার, ১/২৫৫)

সকল সুন্নতের চেয়ে ফজরের সুন্নতের গুরুত্ব বেশি হওয়ায় ফজরের নামাজ কাজা হলে তা সুন্নতসহ পড়ার তাগিদ দিয়েছেন রাসুলুল্লাহ সা.। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি ফজরের দুই রাকাত (সুন্নত) পড়তে পারে না, সে যেন তা সূর্যোদয়ের পর পড়ে নেয়।’ (তিরমিজি: ৪২৩) আয়েশা রা. বর্ণিত হাদিসে এসেছে, ‘ফজরের দুই রাকাত সুন্নত দুনিয়া ও দুনিয়ার মাঝে যা কিছু রয়েছে, তার চেয়ে উত্তম।’ (মুসলিম: ৭২৫)

আল্লাহ তায়ালা আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ